এবছর (১৪৪৫ হিজরী) এর সর্বনিম্ন ফিতরা ১০০/=, সর্বোচ্চ ৩,৫৬০/= টাকা।

আযান ও ইকামতে একই ব্যাক্তি হওয়া জরুরী কি?

ফতওয়া কোডঃ 164-হাসু-17-12-1443

প্রশ্নঃ

মুহতারাম! কোন একটি মাসজিদে দেখা যায় এক ব্যাক্তি আযান দেয় এবং অপর এক ব্যাক্তি ইকামত দেয়। উল্যেখ্য যে মাসজিদে নিয়মতান্ত্রিক কেন মুয়াজ্জিন নেই। মুসল্লিদের মাঝে আজানের পালি করা আছে তারাই আজান দেয়। তো সন্মানিত মুফতি সাহেবের নিকট এখন আমার জানার বিষয় হলঃ

ক. আজান এবং একামত একজনকেই দিতে হবে এর হুকুম কি? অর্থাৎ এটি ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত নাকি মুস্তাহাব? সুন্নাত হলে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা না যায়েদা?

খ. আজান একামত একজনকেই দিতে হবে এই মর্মে কোন হাদিস বর্ণিত আছে কিনা?

গ. একজন আজান এবং ভিন্ন আরেক জন একামত দিলে নামাজের কোন ক্ষতি বা ইকামত দাতার কোন গুনাহ হবে কি?

ঘ. “একজন আজান এবং ভিন্ন আরেক জন একামত দিলে” এটা কোন স্তরের শরয়ী বিরোধী কাজ হবে? এর বিরুদ্ধে কি পরিমান কঠরতা অবলম্বন করা উচিত ?

ঙ. ফরজ ওয়াজিব তরক করলে যেই পরিমান গুরুতের সাথে এর সমালোচনা করা হয় অনুরুপ “একজন আজান এবং ভিন্ন আরেক জন একামত দিলে” এই পরিমান সামালোচনা করা যাবে কি? হাদিস ও সুন্নাহর আলোকে জানিয়ে বাধিত করবেন।

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

যদি মুয়াজ্জিন (যিনি আজান দিয়েছেন) সাহেব উপস্থিত থাকেন, আর অন্য কেউ ইকামাত বললে তিনি অসন্তষ্ট হন, তাহলে অন্য কারো জন্য ইকামত দেওয়া উচিৎ নয়। এমতাবস্থায় ইকামত দেওয়া মাকরুহে তানযিহী হিসাবে গন্য হবে।

আর যদি সন্তষ্ট থাকে, তাহলে ইকামত দিতে কোন সমস্যা নেই। হাদীস শরিফে বৰ্নিত আছে যে, কখনো কখনো হযরত বিলাল রা. আজান দিয়েছেন, হযরত ইবনে উম্মে মাকতুম রা. ইকামত দিয়েছেন, আবার কখনো হযরত ইবনে উম্মে মাকতুম রা. আজান দিয়েছেন, হযরত বিলাল রা. ইকামত দিয়েছেন।

সুত্রসমূহ

بدائع الصنائع: كتاب الصلاة باب الاذان, فصل بيان سنن الاذان

مصنف ابن ابي شيبة: رقم 2257-2260

ردالمحتار: كتاب الصلاة باب الاذان

الفتاوي الهندية: كتاب الصلاة.باب الاذان

سنن ابي داود: رقم 512-514

البحر الرائق: كتاب الصلاة باب الاذان

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

Scroll to Top