এবছর (১৪৪৫ হিজরী) এর সর্বনিম্ন ফিতরা ১০০/=, সর্বোচ্চ ৩,৫৬০/= টাকা।

ঋণ উসুল হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে উক্ত টাকার যাকাত দিতে হবে?

ফতওয়া কোডঃ 189-জাস-18-09-1444

প্রশ্নঃ

এক ভাই আমার থেকে কিছু টাকা ঋণ নিয়েছে, দীর্ঘদিন হয়ে গেছে টাকাগুলো আমাকে দেয় না, টাকা দিবে না সেটাও স্পষ্ট করে না। এ অবস্থায় উক্ত টাকার উপর যাকাতের বিধান কি? বিস্তারিত জানালে ভালো হয়।

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতার লেনদেন যদি সঠিক ভাবে হয়ে থাকে, সঠিক নিয়ম অনুযায়ী হয়ে থাকে, অর্থাৎ চুক্তি অনুযায়ী সঠিকভাবে লেনদেন হয়েছে। তাহলে ঋণদাতা যখন টাকাগুলো উসুল করবেন হিসাব করে অতীতের বছরগুলোর যাকাত আদায় করবেন। অথবা উসুল হওয়ার আগেই উক্ত টাকাগুলোর যাকাত আদায় করতে পারবেন, উসুল হওয়ার পর আর আদায় করতে হবে না।

তবে যদি ঋণদাতা ঋণ উসুল হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী না হন, সন্দেহে পড়ে যান যে ঋণ গ্রহীতা ঋণ ফেরত দিবে কিনা, বা ঋণ গ্রহীতা টালমটোল করছে, অথবা অস্বীকার করছে, তাহলে ঋণদাতা যেদিন টাকাগুলো উসুল করবেন, যেই পরিমাণ টাকা উসুল করবেন, উক্ত টাকার উপর এক বছর অতিবাহিত হলে হিসাব করে যাকাত আদায় করতে হবে।

তবে কেউ কেউ বলেছেন, যদি এমন ঋণ যেটা পাওয়ার আশা নেই কিন্তু ঋনের ব্যাপারে সাক্ষী রয়েছে, এমন ঋনের যাকাত আদায় করা ফরজ। তাই সতর্কতা হলো এমন ঋণ উসুল হওয়ার পর অতীতের বছরগুলোর যাকাত আদায় করে দেয়া।

সুত্রসমূহ

       فتاوی شامی: 2/305 “(و) اعلم أن الديون عند الإمام ثلاثة: قوي، ومتوسط، وضعيف؛ (فتجب) زكاتها إذا تم نصاباً وحال الحول، لكن لا فوراً بل (عند قبض أربعين درهماً من الدين) القوي كقرض (وبدل مال تجارة) فكلما قبض أربعين درهماً يلزمه درهم

 (قوله: عند قبض أربعين درهماً) قال في المحيط؛ لأن الزكاة لاتجب في الكسور من النصاب الثاني عنده ما لم يبلغ أربعين للحرج، فكذلك لايجب الأداء ما لم يبلغ أربعين للحرج. وذكر في المنتقى: رجل له ثلثمائة درهم دين حال عليها ثلاثة أحوال فقبض مائتين، فعند أبي حنيفة يزكي للسنة الأولى خمسة وللثانية والثالثة أربعة أربعة من مائة وستين، ولا شيء عليه في الفضل؛ لأنه دون الأربعين. اهـ”

امداد الفتاوی: 2/33  ”الجواب: اس میں اقوال مختلف ہیں اور ہر جانب تصحیح بھی کی گئی ہے، جس کی تفصیل رد المحتار، ج: ۲، ص: ۱۴، و ص: ۹۹، مطبوعہ مصر میں موجود ہے، بندے کے نزدیک ان اقوال میں سے قول مختار یہ ہے کہ جس قرض کے وصول ہونے کی امید ضعیف ہو یا بالکل نہ ہو، قبل وصول اُس پر زکات واجب نہ ہوگی اور وصول کے بعد جس قدر وصول ہوگا، بعد حولان حول آئندہ صرف اسی قدر پر زکات واجب ہوگی۔ ومتمسکی فیہ ما في رد المحتار بعد نقل عبارة النہر عن الخانیة قولہ قلت، وقدمنا أول الزکاة اختلاف التصحیح فیہ، ومال الرحمتي الی ہذا وقال: بل في زماننا یقر المدیون بالدین و بملائتہ ولا یقدر الدائن علی تخلیصہ منہ، فہو بمنزلة العدم: ج: ۲/ ص: ۹۹ “ 

فتاوی عثمانی: 2/46

بدائع الصنائع: 2/9 “ومنها الملك المطلق…  فلا تجب الزكاة في المال الضمار عندنا خلافا لهما.وتفسير مال الضمار هو كل مال غير مقدور الانتفاع به مع قيام أصل الملك كالعبد الآبق والضال، والمال المفقود، والمال الساقط في البحر، والمال الذي أخذه السلطان مصادرة، والدين المجحود”.

و الله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

Scroll to Top