প্রশ্নঃ কুরবনীদাতা ও তার পশু ভিন্নস্থানে হলে উক্ত পশু কুরবানীর বিধান কি?
উত্তরঃ بسم الله الرحمن الرحيم
কুরবানীদাতা এক স্থানে আর তার কুরবানীর পশু অন্যস্থানে থাকলে কুরবানীদাতার ঈদের নামায পড়া বা না পড়া ধর্তব্য নয়, বরং পশু যে এলাকায় আছে ওই এলাকায় ঈদের জামাত হয়ে গেলে পশু জবাই করলে কুরবানী আদায় হয়ে যাবে।
প্রশ্নঃ মাদ্রাসার রশিদ বই, চাঁদা উত্তোলনের কুপন বা মাহফিল এর পোস্টারে “আল্লাহ” শব্দ ব্যবহারের বিধান কি?
উত্তরঃ بسم الله الرحمن الرحيم
যে জায়গায় “আল্লাহ” শব্দ ব্যবহার করলে এ শব্দের সাথে বেয়াদবির আশঙ্কা থাকে, এ সমস্ত জায়গায় “আল্লাহ” শব্দ ব্যবহার করা জায়েজ নেই, মাদ্রাসার রশিদ বই, চাঁদা উত্তোলনের কুপন বা মাহফিল এর পোস্টারে “আল্লাহ” শব্দ ব্যবহারে বেয়াদবি হয়ে যেতে পারে, তাই এ সমস্ত স্থানে “আল্লাহ” শব্দ ব্যবহার থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতাসহ বিরত থাকতে হবে ।
প্রশ্নঃ হিজরী ও খ্রিস্ট বর্ষ এর মধ্যে পার্থক্য কি? এরমধ্যে সূর্য-চন্দ্রের কোন হিসাব আছে কিনা?
উত্তরঃ بسم الله الرحمن الرحيم
হযরত ঈসা আঃ এর জন্ম থেকে খ্রিস্ট সাল এবং সায়্যিদুল মুরসালিন মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হিজরতের বছর থেকে হিজরী সাল গণনা শুরু হয়, খ্রিস্টীয় সাল সূর্যের হিসাবে হয়, আর হিজরী সাল চাঁদের হিসাবে হয়।
সুত্রঃ তারিখে ত্বাবারীঃ ২/৩৮৯, ফাতাওয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাতঃ ২/৫২৬
প্রশ্নঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি কখনো কারাভোগ করেছেন? শিআবে আবি তালিব কি কারাগার ছিল?
উত্তরঃ بسم الله الرحمن الرحيم
শিআবে আবি তালিবের প্রসিদ্ধ ঘটনাকে কারাভোগ বলা ভুল হবে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ২ বছর ৭ মাস বা ৩ বছর কারাগারে ছিলেন এটিও ভুল, এটি মূলত একটি সামাজিক বয়কট করছিল, বনু হাশিম-বনু মুত্তালিবসহ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর অন্যান্য অনুসারীরা এ বয়কট ও নির্যাতনের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। এটি মূলত একটি সামাজিক বয়কট করছিল কারাভোগ নয়।
প্রশ্নঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাতের তারিখ জানতে চাই?
উত্তরঃ بسم الله الرحمن الرحيم
কুরআন-সুন্নাহ, ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী ১/২ রবিউল আউয়াল ১১ হিজরীতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাত হয়, ২ তারিখের বর্ণনাটিকে ঐতিহাসিকগণ প্রাধান্য দিয়েছেন।
প্রশ্নঃ অনেকেই বলে এক মুসলমান অন্য মুসলমানের কাছে দুআ চাইবে কেন? যে দুআ চাইবে তার আল্লাহ আর যার কাছে দুআ চাইবে তার আল্লাহ কি ভিন্ন? আমি জানতে চাই এক মুসলমান অন্য মুসলমানের কাছে দুআ চাইতে পারবে কিনা?
উত্তরঃ بسم الله الرحمن الرحيم
যারা এধরনের কথা বলে তারা সাধারনত মূর্খ, কুরআন-সুন্নাহের জ্ঞান তাদের নেই, এক মুসলমান অন্য মুসলমানের কাছে দুআ চাওয়ার বিষয়টি কুরআন-সুন্নাহ দ্বারা সুস্পষ্ট, হযরত ইউসুফ আঃ এর ভাইয়েরা তাদের পিতার কাছে দুআ চেয়ে ছিলেন, হযরত ওমর রাঃ ওমরায় যাওয়ার সময় স্বয়ং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে দুআ চেয়েছেন, অতএব কোন মুসলমান অপর মুসলমানের কাছে দুআ চাইতে পারবে না এই কথা সঠিক নয় ও কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী।
প্রশ্নঃ কোন ছাত্র যদি লেখাপড়া বা মাদ্রাসার কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবহেলা করে, তাহলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা বা বেত্রাঘাত করা কতটুকু শরীয়ত সম্মত?
উত্তরঃ بسم الله الرحمن الرحيم
প্রশ্নে লেখাপড়ায় অবহেলা করলে বুঝিয়ে কাজ নিতে হবে, এজন্য গালিগালাজ করা কোনভাবেই শরীয়ত সম্মত নয়, স্বাভাবিক বেত্রাঘাত দোষণীয় নয়, তবে ছাত্রের পিতা-মাতারা যেহেতু বর্তমানে বেত্রাঘাতের অনুমতি দেয় না, তাই নাবালেগ ছাত্রদেরকে বেত্রাঘাত করা যাবেনা, মাদ্রাসার/ব্যক্তিগত কাজ না করলে বা এক্ষেত্রে অবহেলা করলে কোনভাবেই গালি দেয়া বা বেত্রাঘাত করা শরীয়ত সম্মত নয়।