Darul Ifta, Rahmania Madrasah Sirajganj

সালাত (নামাজ)

বিতরের নামাযে দুআয়ে কুনুতের পূর্বে হাত উঠানো কেমন?

ফতওয়া কোডঃ 07-সা,হাসু-09-08-1442

প্রশ্নঃ

আসসলামু আলাইকুম কেমন আছেন হযরত। এক লা-মাযহাবী ভাই বিতরের নামাজের শেষ রাক’আতে দুআয়ে কুনুত এর পূর্বে হাত উঠানোর কোন প্রমাণ নাই বলে দাবি করেছেন, তাই আমি জানতে চাই বিতরের নামাজের শেষ রাক’আতে দুআয়ে কুনুত এর পূর্বে হাত উঠানোর কোন প্রমাণ আছে কি না?

সমাধানঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

বিতরের নামাজের শেষ রাক’আতে দুআয়ে কুনুত পাঠ করার পূর্বে হাত উঠানো হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এটি সুন্নত ও আমলযোগ্য। এটা কিরআত শেষ হওয়ার ইঙ্গিত স্বরূপ অর্থাৎ এর দ্বারা কিরআত ও দূআর মাঝে পার্থক্যকরণ হয়। অতএব যারা বলে হাদিসে এর কোন প্রমাণ নাই তাদের কথা ঠিক নয়।

সুত্রসমূহ

جزء رفع اليدين: 82

مصنف ابن ابي شيبة: 7020-7021

شرح معاني الاثار: 2/178 رقم 3825

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

আপনিসহ এই ফতওয়াটি পড়েছেন মোট 496 জন।

নামাযে কাতারে দুই মুসল্লীর মাঝে ফাঁকা রাখা

ফতওয়া কোডঃ 05-সা-08-08-1442

প্রশ্নঃ

নামাযে কাতারে দুই মুসল্লীর মাঝে ফাঁকা রাখা কেমন?

সমাধানঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

নামাযের কাতারে গায়ে গায়ে লাগিয়ে কাতার সোজা করা সুন্নত । এটাকে নামাযের পরিপূর্ণতার অংশ বলা হয়েছে । হাদিসে এর অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে । এ সুন্নত তরক করলে তার ব্যাপারে ধমকিও দেওয়া হয়েছে । তাই যদিও দুই মুসল্লির মাঝখানে ফাঁকা রেখে দাঁড়ালে নামায সহী হয়ে যাবে, তবুও স্বাভাবিকভাবে এ সুন্নত ছেড়ে দেওয়া যাবে না, বিনা প্রয়োজনে ছেড়ে দিলে গুনাহ হবে, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে যার করোনা শনাক্ত হয়েছে তাকে মসজিদে আসতে নিষেধ করা হবে, এটাও হাদীস দ্বারাই প্রমণিত, সর্তকতা অবলম্বনের জন্য এতোটুকু যদি যথেষ্ট না হয়, গায়ে গায়ে লাগিয়ে কাতার সোজা করলে করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার বাস্তবেই সম্ভাবনা থাকে, তাহলে আশা করা যায় কাতারের মধ্যে দুই মুসল্লির মাঝখানে ফাঁকা রেখে কাতার সোজা করলে গুনাহ হবে না । নামাযের কোন অসুবিধা হবে না ।

সুত্রসমূহ

صحيح البخاري: 1/100 رقم 716-723

صحيح المسلم: 1/181

سنن ابی داؤد: 1/97 رقم 662

عمدۃ القاری: 5/254

الدر المختار: 1/568

اعلاء السنن: 4/3

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

আপনিসহ এই ফতওয়াটি পড়েছেন মোট 448 জন।

মৃত ব্যক্তির নামায ও রোজা এর কাফফারা কি?

ফতওয়া কোডঃ 01-আমা,সা-01-05-1441

প্রশ্নঃ

মৃত ব্যক্তির নামায ও রোজা এর কাফফারা সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে চাই

সমাধানঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

নামাযঃ যদি মৃত ব্যক্তি তার সম্পদ থেকে তার নামাযের কাফফারা আদায়ের জন্য অসিয়ত করে যায়, আর তার নিজের মালও ছিল। তাহলে তার এক তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে কাফফারা আদায় করতে হবে, আর যদি তার কোন সম্পদ না থাকে, বা সে মাল রেখে গেছে কিন্তু কোন কাফফারা আদায়ের অসিয়ত করে যায়নি। তাহলে মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কাফফারা আদায় করা আত্মীয়দের উপর জরুরী নয়। তবে স্বজনদের কাফফারা আদায় করে দেয়াই উত্তম। এর দ্বারা মৃত ব্যক্তি শান্তি পায়। কাফফারার পরিমাণ হল, প্রতিদিন বিতর নামাযসহ ৬ ওয়াক্ত নামায হিসেব করে প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য পৌনে দুই সের গম বা আটা অথবা এর বাজার মূল্য গরীব মিসকিনকে মালিক বানিয়ে দিতে হবে। অথবা প্রতি ওয়াক্তের বদলে একজন গরীবকে দুই বেলা তৃপ্তি সহকারে খানা খাওয়াতে হবে বা খানার মুল্য সদকা করতে হবে।

রোজাঃ মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে তার কাজাকৃত রোজার কাফফারা হিসেবে অন্য কারো রোজা রাখার বিধান নেই। তবে মৃত্যুকালে সে ব্যক্তি ফিদইয়া প্রদানের অসিয়ত করলে (যা পূর্ণ করা ওয়াজিব) তার রেখে যাওয়া সম্পদের এক তৃতীয়াংশ মাল থেকে অসিয়ত পূর্ণ করা জরুরি। অসিয়ত না করলে ফিদইয়া দেয়া জরুরি নয়। তবে বালেগ ওয়ারিসরা নিজ নিজ অংশ হতে তা আদায় করলে আদায় হওয়ার আশা করা যায়।

সুত্রসমূহ

الدر المختار: 2/72 وَلَوْ مَاتَ وَعَلَيْهِ صَلَوَاتٌ فَائِتَةٌ وَأَوْصَى بِالْكَفَّارَةِ يُعْطَى لِكُلِّ صَلَاةٍ نِصْفَ صَاعٍ مِنْ بُرٍّ كَالْفِطْرَةِ وَكَذَا حُكْمُ الْوِتْرِ وَالصَّوْمِ، وَإِنَّمَا يُعْطِي مِنْ ثُلُثِ مَالِهِ

رد المحتار: 2-95-100 واما اذا لم يوص فتطوع بها الوارث فقد قال محمد في الزيادات انه يجزيه ان شاء الله تعالي

فتاوى فقيه الملت: 5/470

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

আপনিসহ এই ফতওয়াটি পড়েছেন মোট 579 জন।