ফতওয়া কোডঃ 137-দুই-21-06-1443
প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম। হুজুর, আমার প্রশ্ন হলোঃ
হাদিসের এবারত, হাদিসে বর্ণিত দুআ সমূহ তাজবীদসহ পড়তে হবে কি?
সমাধানঃ
بسم اللہ الرحمن الرحیم
তাজবীদের কায়দা-কানুন সমূহ মূলত বিশুদ্ধ ভাবে আরবী ভাষা উচ্চরনের জন্য, সুতরাং তা শুধুমাত্ৰ কুরআন শরীফের সা থেই খাস নয়, বরং পবিত্র কুরআন মাজীদ ছাড়া অন্য ক্ষেত্ৰেও অনুসরন করা যাবে বরং তা অনুসরন করাই উত্তম, বিশেষ করে হরফ উচ্চরনের মাখরাজ এবং কাওয়ায়েদে লাযিমিয়্য়াহ যা আরবী ভাষার বুনিয়াদি বিষয় এগুলোর প্ৰতি খেয়াল রাখা যাতে অর্থের মধ্যে কোন ধরনেন পরিবর্তন হয়ে তা উদ্দেশ্য বিহীন হয়ে না যায়, তবে কুরআন মাজীদের ক্ষেত্ৰে উক্ত নিয়ম কানুন যতটা গুরুত্বপুর্ন ও জরুরী হাদীসের ইবারত এবং হাদীসে বর্নিত দুআ সমূহে ততটা গুরুত্বপুর্ন জরুরী নয়।
মুতাআখখিরীন উলামাদের নিকট তো কুরআন মাজীদের ক্ষেত্ৰেও তাজবীদের কায়দা কানুনের ব্যাপারে অনেক শিথিলতা আছে, সুতরাং তাদের মতে হাদীসের ইবারত ও হাদীসে বর্নিত দুআ সমূহের ক্ষেত্ৰে উক্ত কায়দা কানুনের ব্যাপারে আরো বেশী শিথিলতা আছে।
তবে হাদীসের ইবারত এবং হাদীসে বর্নিত দুআ সমূহের ক্ষেত্ৰে আরবী ভাষার বুনিয়াদি বিষয় তথা মাখরাজ কাওয়ায়েদে লাযিমিয়্যাহ এর প্ৰতি লক্ষ রাখলেই চলবে যাতে অর্থের মধ্যে কোন পরিবর্তন না হয় ,যার ফলে তা উদ্দেশ্য বিহীন হয়ে যাবে।
সুত্রসমূহ
الوجيز في حكم تجويد الكتاب العزيز: 58
المقدمات الاساسيية في علوم القران: 435
امداد الفتاوى: 1/305
احسن الفتاوي: 1/86
الرسالة الارشاد الي مخرج الضاد: مفتي رشيد احمد صاحب
والله اعلم بالصواب
দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।