এবছর (১৪৪৫ হিজরী) এর সর্বনিম্ন ফিতরা ১০০/=, সর্বোচ্চ ৩,৫৬০/= টাকা।

অসুস্থ ব্যক্তির রোজার ফিদয়াহ সম্বন্ধে জানতে চাই

ফতওয়া কোডঃ 191-স-20-09-1444

প্রশ্নঃ

আসসালামুয়ালাইকুম, মাননীয় মুফতী সাহেব, আমার বাবা অনেক অসুস্থ থাকার দরুন এ বছর রোজা রাখতে পারছেন না। এখন ওনার রোযার ফিদিয়া দেওয়ার জন্য টাকার হিসেবে প্রত্যেক রোযার জন্য কত টাকা করে দিতে হবে? মেহেরবানী করে আমাকে জানালে আমি আপনার নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকবো।

সমাধানঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

যদিও কোন ব্যক্তি এমন বয়স্ক হয়ে গেছেন যে রোজা রাখার শক্তি বাকি নেই, অথবা এমন অসুস্থতায় ভুগছেন যার সুস্থতার আশা করা যায় না, তাহলে এমতাবস্থায় তিনি প্রত্যেক রোজার বদলে ফিদয়াহ দিতে পারবেন।

ফিদয়াহ হলো প্রতি রোজার বিনিময়ে একজন মিসকিনকে ফিতরা পরিমাণ সদকা করা বা সকাল-বিকাল তাকে পেট ভরে খানা খাওয়ানো। ফিদয়াহ দেয়ার পর যদি বৃদ্ধ ব্যক্তির রোজা রাখার শক্তি ফেরত আসে বা অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ হয়ে যায় তাহলে তাকে ফিদয়াহ দেয়া রোজাগুলোর কাজা করতে হবে, এক্ষেত্রে ফিদিয়াহ এর সওয়াব তিনি অবশ্যই পাবেন।

এবছর (১৪৪৪ হিজরী) এর সর্বনিম্ন ফিতরা ১০০/=, সর্বোচ্চ ২,৪৫০/= টাকা।

সুত্রসমূহ

حاشیۃ الطحطاوي علی مراقي الفلاح: 688 ویجوز الفطرۃ لشیخ فان وعجوز فافیۃ وتلزمھما الفدیۃ لکل یوم نصف صاع من بر.

الدر المختار: 3/478 فإن عجز من الصوم لمرض لایرجی برؤہ أوکبر أطعم أي ملک ستین مسکینا…… کالفطرۃ قدرا ومصرفا أو قیمۃ ذلک من غیر المنصوص

فتاوى رشیدیه: 1/207 ولو قدر علی الصیام بعد ما فدی، بطل حکم الفداء الذی فداہ، حتی یجب علیہ الصوم، ہکذا في ”النہایۃ”. (الھندیۃ: کتاب الصوم، الباب الخامس في الأعذار التي تبیح الأفطار

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

Scroll to Top