ফতওয়া কোডঃ 217-হাহা-16-12-1445
প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম, আমি দাওরা-ই হাদিস অধ্যায়নরত একজন শিক্ষার্থী। আমরা একটি হাদিসের ব্যাপারে জানি যে, কোনও ব্যাক্তি নিজের থেকে বিচারক হওয়ার ব্যাপারে প্রার্থী হতে পারবেনা। তবে এই প্রেক্ষাপটে আমার দুইটি প্রশ্ন আছে।
১ম প্রশ্ন: আমাদের বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সুষ্ঠ বিচারের খুবই অভাব, তাছাড়াও বিচারের পদগুলোতে সাধারণ জেনারেল শিক্ষিত তো বাদ ই, সেখানে এখন হিন্দু বৌদ্ধদের আনাগোনাই বেশি। তো, এখন যদি একজন আলেম হিসেবে আমরা বা আমি বিচারের পদে যেতে আগ্রহী হই,যেহেতু এটি বিজেএস কমিশনের মাধ্যমে তিব্র প্রতিযোগিতা মূলক একটি (কয়েক ধাপের) পরিক্ষা দিয়েই সেখানে যেতে হয়। এভাবে জায়েজ হবে কিনা,বা এটার বিধান কি?
২য় প্রশ্ন: একজন মহিলার (যদি সে ফরজ বিধান পর্দা রক্ষা করতে পারে) তার কি বিচারক হয়ে বিচার করা জায়েজ হবে? যেহেতু এটি একটি প্রতিযোগিতা মূলক অংশগ্রহণ, অবশ্যই একজন বিচারককে তার যোগ্যতা থাকতে হবে,সেই হিসেবে অনেক পুরুষের চেয়েও মহিলারা জ্ঞান ও হিকমার দিক দিয়ে এগিয়ে আছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশে মহিলাদের বিচারক হবার বিধানটি কি?
সমাধানঃ
ইসলামী শরীয়তে বিচারক হওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, এ দায়িত্বের সকলের জন্যই নয়, এ দায়িত্বের উপযুক্ত হওয়ার জন্য শরীয়ত গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন আদর্শ ও নীতি নির্ধারণ করেছেন। তাই কোন আলেম যদি শরীয়ত সমর্থিত নিয়ম অনুসরণ করে কোন ধরনের প্রতারণার আশ্রয় না নিয়ে কাজী বা বিচারকের দায়িত্বে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাহলে এটা কোন দোষের কথা নয়, বরং শরীয়তের অনেক বড় গুরু দায়িত্ব পালন হবে ইনশাআল্লাহ। তবে ইসলামে কোন নারীর বিচারক হওয়ার অনুমতি নেই।
সুত্রসমূহ
درمختار: 5/44 (والمرأة تقضي في غير حد وقود وإن أثم المولي لها)؛ لخبر البخاري: «لن يفلح قوم ولّوا أمرهم امرأةً
آپ کے مسائل اور ان کا حل: 8/617 ایسے تمام مناصب جن میں ہرکس و ناکس کے ساتھ اختلاط اور میل جول کی ضرورت پیش آتی ہے، شریعتِ اسلامی نے ان کی ذمہ داری مردوں پر عائد کی ہے، اور عورتوں کو اس سے سبک دوش رکھاہے، انہی ذمہ داریوں میں سے ایک جج اور قاضی بننے کی ذمہ داری ہے……..
والله اعلم بالصواب
দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।