কষ্টদানকারী আত্বীয়দের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবে কি?

ফতওয়া কোডঃ 221-হাহা-20-02-1446

প্রশ্নঃ

আমার কিছু খারাপ আত্নীয় স্বজন রয়েছে যারা অতীত সময়ে আমার অনেক ক্ষতি করেছে বিভিন্নভাবে। তাদেরকে আমার অহংকারী মনে হয়। এরা অন্যদের কাছে আমাকে অপমান করে বিভিন্ন কথা বলেছে অতীত সময়ে। আমার এই সকল খারাপ আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা হলে আমি শুধু সালাম বিনিময় করি এবং কেমন আছেন, পরিবারের সবাই কেমন আছে, দিনকাল কেমন যাচ্ছে শুধু এতটুকু জিজ্ঞেস করি। তাদের সাথে আমার কোনো আন্তরিক সম্পর্ক রাখার ইচ্ছে নেই। তবে তাদের প্রতি আমার কোনো হিংসা নেই। কিন্তু তাদের প্রতি আমার ঘৃণা রয়েছে। তাদের দেখলেই মনের ভেতর অনেক রাগ হয় আমার। সার্বিক পরিস্থিতি মিলিয়ে আমার এই অবস্থানের জন্য আমি কি গোনাহগার হবো?

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

না, তাদের সাথে এরূপ আচরণের জন্য আপনি গুনাগার হবে না। তবে সংশোধনের ইচ্ছায় এমনটা হতে হবে আর অন্তরে বিদ্বেষ পোষণ করা যাবে না। কেননা ব্যক্তি যদি কোন গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে এবং সতর্ক করার পরও যদি গুনাহের কাজ পরিত্যাগ না করে তাহলে সংশোধনের নিয়তে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবে। যাতে সে তার ভুল বুঝে সঠিক পথে ফিরে আসে।

হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, কোনরূপ ওজর ব্যতীত তাবুক যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করায় রসূল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত কাব ইবনে মালিক রা. ও তার দুই সাথী থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করতে সাহাবায়ে কেরামদের রা. নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সুত্রসমূহ

سورة التوبة: 118 وَعَلَى الثَّلَاثَةِ الَّذِينَ خُلِّفُوا حَتَّىٰ إِذَا ضَاقَتْ عَلَيْهِمُ الْأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ وَضَاقَتْ عَلَيْهِمْ أَنفُسُهُمْ وَظَنُّوا أَن لَّا مَلْجَأَ مِنَ اللَّهِ إِلَّا إِلَيْهِ ثُمَّ تَابَ عَلَيْهِمْ لِيَتُوبُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ

 صحيح أبي داود: 4600 عن كعب بن مالك، قصةَ تخلُّفِه عن النَّبيِّ صلَّى اللهُ عليْهِ وسلَّمَ في غزوةِ تبوكَ قال : ونهى رسولُ اللهِ صلَّى اللهُ عليْهِ وسلَّمَ المسلمين عن كلامِنا ، أيُّها الثلاثةُ ، حتَّى إذا طالَ عليَّ تسوَّرتُ جِدارَ حائطِ أبي قتادةَ ، وهوَ ابنُ عمِّي ، فسلَّمتُ عليهِ ، فواللهِ ما ردَّ عليَّ السَّلامَ ثمَّ ساقَ خبرَ تنزيلِ توبتِهِ

حاشیۃ السندی علی ابن ماجہ: 1/38 (قوله: أن يهجر أخاه ) يفهم منه إباحة الهجر إلى ثلاث وهو رخصة لأن طبع الآدمي على عدم تحمل المكروه ثم المراد حرمة الهجران إذا كان الباعث عليه وقوع تقصير في حقوق الصحبة والأخوة وآداب العشرة وذلك أيضاً بين الأجانب وأما بين الأهل فيجوز إلى أكثر للتأديب فقد هجر رسول الله صلى الله تعالى عليه وسلم نساءه شهراً وكذا إذا كان الباعث أمرا دينيا فليهجره حتى ينزع من فعله وعقده ذلك فقد أذن رسول الله صلى الله تعالى عليه وسلم في هجران الثلاثة الذين تخلفوا خمسين ليلةً حتى صحت توبتهم عند الله قالوا وإذا خاف من مكالمة أحد ومواصلته ما يفسد عليه دينه أو يدخل عليه مضرة في دنياه يجوز له مجانبته والحذر منه فرب هجر جميل خير من مخالطة مؤذيه

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

Scroll to Top