এবছর (১৪৪৫ হিজরী) এর সর্বনিম্ন ফিতরা ১০০/=, সর্বোচ্চ ৩,৫৬০/= টাকা।

ইন্টারনেট সংযোগ এর ব্যাবসা করা জায়েয!

ফতওয়া কোডঃ 108-ব্যবা-26-04-1443

প্রশ্নঃ

ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার ব্যাবসা করা কি জায়েজ? দলিল সহ জানতে চাই!

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

ব্রডব্যান্ড/ওয়াইফাই/ইন্টারনেট এর ব্যবসার ক্ষেত্রে শরীয়তের মূলনীতি হলো এটি দ্বারা হারাম ও হালাল উভয় কাজ করারই সুযোগ রয়েছে, তাই শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী তা কাউকে প্রদান করা, বিক্রি করা বা এর ব্যাবসা করা সবই জায়েজ। সেই হিসেবে যেহেতু ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ভাল-মন্দ উভয় কাজই করা যাচ্ছে। তাই এর ব্যবসা জায়েজ আছে।

যদি ক্রেতা ক্রয়কৃত ইন্টারনেট দিয়ে কোন গুনাহের কাজ করে, তাহলে এর জন্য দায়ী হবে গুনাহকারী ব্যক্তি।তবে যদি এটি নিশ্চিত ভাবে জানা যায় যে, ক্রেতা ক্রয়কৃত ইন্টারনেট দিয়ে শুধু গুনাহের কাজই করবে, কোন প্রকার ভাল কাজ করবে না, তাহলে তার কাছে বিক্রয় করা জায়েজ হবে না।

তাকওয়ার দাবি হলোঃ ব্যপক ভাবে কোন গুনাহের আসবাব আমলে না আনা, কিছু নিয়ম ও শর্ত-শারাইত জুরিয়ে দেয়া যেনো সকলেই গুনাহ থেকে বাচতে পারে।

সুত্রসমূহ

سورة مائدة: 2 وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ

سورة البقره: 29 أن كل ما فيه منفعة تحل شرعاً، فإن بيعه يجوز، لأن الأعيان خلقت لمنفعة الإنسان بدليل قوله تعالى: خلق لكم ما في الأرض جميعاً

الفقه الاسلامى وادلته، معالم النظام الاقتصادى فى الاسلام، القسم الثالث العقود، المبحث الرابع-البيع الباطل والبيع الفاسد، المطلب الاول-انواع البيع الباطل، بيع النجس والمتنجس: 4/217

الفتاوى الهندية: 3/116 وَمَا كَانَ الْغَالِبُ عَلَيْهِ الْحَرَامُ وَلَمْ يَجُزْ بَيْعُهُ وَلَا هِبَتُهُ

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

Scroll to Top