এবছর (১৪৪৫ হিজরী) এর সর্বনিম্ন ফিতরা ১০০/=, সর্বোচ্চ ৩,৫৬০/= টাকা।

ব্যাথার জন্য ব্যাথার জায়গায় ক্যানাবিড অয়েল (canabid oil) ব্যাবহার করা জায়েয

ফতওয়া কোডঃ 146-হাহা-26-07-1443

প্রশ্নঃ

ব্যাথার চিকিৎসার জন্য ব্যাথার জায়গায় ক্যানাবিড অয়েল (canabid oil) ব্যাবহার করা জায়েজ হবে কি না জানতে চাই। নির্ভরযোগ্য তথ্য মতে ক্যানাবিড অয়েল গাজা গাছ থেকে তৈরি।

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

মূলত গাজা গাছ একটি ঔষধ জাতীয় উদ্ভিদ, এটি ৬৫ ধরনের রোগের ঔষধ, চীনারা বহু বছর থেকে চিকিৎসা দ্ৰব্য হিসেবে গাজা ব্যবহার করে আসছে, তৎকালীন সময় গাজা গাছের পাতা (যাকে গাজা নামে সবাই চেনে) বেটে দুধের সাথে মিশিয়ে ব্যাথার স্থানে প্ৰলেপ দেওয়া হতো ব্যাথা নিরসনের জন্য।

শুধু তাই নয়, গাজা গাছের আশ দিয়ে সুতা তৈরী করা হতো আর সেই সূতা দিয়ে ডেনিম প্যান্ট, শাৰ্ট, জ্যাকেট ইত্যাদি ব্যাপকভাবে তৈরী করা হতো, এবং গাজার সুতা দ্বারা তৈরীকৃত কাপড় মসলিন কাপড়ের মত‌ই অনেক দামী।

ষাট দশকে গাজা থেকে তেল মলমসহ নিত্য প্ৰয়োজনীয় উপকরন তৈরী করা হতো। এবং বৰ্তমানে পশ্চিমা দেশগুলো এই পন্যগুলো ব্যপকভাবে বিক্ৰি করছে, ২০০৭ সালে californa pacific mediical center in san francisco তে গবেষনা করে দেখা গেছে c.b. d. Cannabid iol ক্যান্সার ছড়ানো প্ৰতিরোধ করতে যতেষ্ঠ সহায়তা করে, কেমো থেরাপী নেয়ার ফলে সৃষ্ট ব্যাথা দুর করে।

গাজা গাছ থেকে যে নেশা দ্ৰব্য তৈরী করা হয় তা কয়েকটিতে সীমাবদ্ধ, যেমন গাজা, ভাং সিদ্ধি, চরস, হাসিস। এইগুলোর মধ্যে ভাং নেশাকর দ্ৰব্য নয়, যদিও তা গাজা পাতা ও তার ফুল থেকে তৈরী করা হয়, পুরান ঢাকায় এখনো ভাং এর শরবত পাওয়া যায়, বাকীগুলো শুধুমাত্ৰ যখন তার সাথে অগ্নি সংযোগ করে ধোয়া নেওয়া হয় তখন তা নেশা তৈরী করে এবং তা مسكر হিসাবে গন্য হয়।

এমনকি গাজা যাকে শোধন করে নেশাকর বানানো হয় তা যদি পানিতে গুলে বা ভিজিয়ে খাওয়া হয় তাহলে তা নেশা সৃষ্টি করেনা, এবং তা مسكر হিসাবে গন্য হয়না, ২য় তো গাজা গাছ নাপাক নয় বা رجس এর অন্তৰ্ভুক্ত নয়।

হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ. বলেন যে, সব দ্ৰব্য নেশাজাত তবে তরল নয়, যেমন তামাক, জয়ফল, আফিম ইত্যাদি এ সব দ্ৰব্য যে পরিমান ব্যবহার করলে তা সাথে সাথে নেশা ধরে যায় অথবা শারিরিক ক্ষতি সাধন করে, সে পরিমান সেবন করা হারাম। পক্ষান্তরে তা যদি নেশা সৃষ্টি না করে অথবা শারিরিক ক্ষতিও না করে, তাহলে জায়েয আছে, মালিশ হিসেবেও তা ব্যবহার করা যায়। (বেহেশ্তী জিওর ৩য় খন্ড হালাল হারাম)

সুতরাং উল্লেখিত আলোচনা থেকে আমরা প্ৰশ্নে উল্লেখিত cannabid oil ‌এর হুকুম সম্পৰ্কে জানতে পারলাম যে, cannabid oil ব্যাথার স্থানে পালিশ বা মালিশ হিসাবে ব্যবহার করা জায়েয আছে।

সুত্রসমূহ

ردالمحتار: كتاب الاشربة. وقال محمد الخ اقول الظاهر ان هذا خاص بالاشربة الماؤعة دون الجامد كالبنج والافيون فلا يحرم قليلها بل كثيرها المسكر وبه صرح ابن حجر في التحفة وغيره

وفيه ايضا: بل الصواب مراد صاحب الهداية وغيره اباحة قليله للتداوي

وفيه ايضا: لان حرمتها ليست لعينها بل لضررها

وفي البزازية: والتعليل ينادي بحرمته لا للدواء

هكذا في شرح الهداية في كتاب الاشربة

وفي البحر الرايق في كتاب الاشربة

فتح القدير: في كتاب الاشربة

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

Scroll to Top