এবছর (১৪৪৫ হিজরী) এর সর্বনিম্ন ফিতরা ১০০/=, সর্বোচ্চ ৩,৫৬০/= টাকা।

মহিলাদের এসলাহি মজলিস, শবে বারাআত, রমাযান সম্পর্কে আলোচনার মজলিস কি জায়েজ?

ফতওয়া কোডঃ 185-তাত,দাতা-18-08-1444

প্রশ্নঃ

আসসালাম আলাইকুম। আমার এলাকায় অনেক বিখ্যাত এক মুফতি সাহেরের একটি খানকাহ আছে। সেখানে একটি মাদরাসা আছে। উক্ত খানকাহতে মহিলাদের জন্য আলাদা মজলিস, ইসলাহী ও ইলমি আলোচনা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১লা মার্চ মহিলাদের একটি এসলাহি মজলিস আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে শবে বারাআত, রমাযান সম্পর্কে আলোচনা হবে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এরকম মজলিস ইসলাম সমর্থন করে কিনা, যায়েজ নাকি নাজায়েজ ?

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

প্ৰশ্নে উল্লেখিত খানকাহটা যদি শরিয়ত মুতাবিক পরিচালিত হয়, এবং সেখানে কোন শরিয়ত গর্হিত কোন কাজ না হয় ও শরয়ী পৰ্দা লংঘন না হয় এবং দূর দুরান্ত থেকে যে সকল মহিলারা আগমন করেন তারা যদি স্বামী বা মাহরাম পুরুষের সাথে আসেন, তাহলে মহিলাদের দ্ধীনি ইলম অৰ্জনের জন্য দিন নিৰ্ধারন করে এ রকম মজলিস এর ব্যবস্থা করা জায়েয আছে। এবং তা শরিয়ত বিরোধী নয়। তবে ফিৎনা থেকে বাচার জন্য নিজ মহল্লায় এমন মজলিস করা যেতে পারে, দূরে সফর করা মারাত্বক ক্ষতির আশংকা বহন করে, নিশ্চিত ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে এমন সফর জায়েয নেই।

হাদীস শরীফে বৰ্নিত আছে যে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহিলা সাহাবীদের রা. তালীম তরবিয়াতের জন্য একটি দিন নিৰ্ধারন করেছিলেন, উক্ত মসলিসে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহিলাদেরকে ভিবিন্ন ওয়াজ নসিহত এবং গুরুত্বপূর্ন কাজের আদেশ নিষেধ করতেন।

সুত্রসমূহ

صحيح البخاري: رقم الحديث 101 عن أبي سعيدٍ الخُدريِّ – رضي الله عنه – قال: قالتِ النِّساءُ للنبيِّ – صلى الله عليه وسلم -: غَلَبَنا عليك الرجال، فاجعلْ لنا يومًا من نفسك؛ فوعدهنَّ يومًا لقيهنَّ فيه، فوعظهنَّ وأمرهنَّ

عمدة القاري: 2/124 “قال النووي: فيه استحباب وعظ النسآء و تذكيرهن الآخرة و أحكام الإسلام و حثهن علي الصدقة، و هذا إذا لم يترتب علي ذلك مفسدة أو خوف فتنة علي الواعظ أو الموعوظ و نحو ذلك”

فتاوی محمودیہ: 3/377 الجواب: جائز ہے، حضور اکرم صلی اللہ علیہ وسلم سے بکثرت ثابت ہے، لیکن اگر فتنہ کا اندیشہ ہو تو احتیاط کرنا چاہیے

و الله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

Scroll to Top