এবছর (১৪৪৫ হিজরী) এর সর্বনিম্ন ফিতরা ১০০/=, সর্বোচ্চ ৩,৫৬০/= টাকা।

নামাযে কুরআনে কারিম দেখে পড়া জায়েয নয়, গরমেও রোজা রাখতেই হবে

ফতওয়া কোডঃ 12-স,সা-14-08-1442

প্রশ্নঃ

মুহতারাম, হযরত মুফতি সাহেব হুজুর, আমার প্রশ্ন হলো যে,

১. আমরা লক্ষ করছি মিজানুর রহমান আজহারী যেই ফতওয়া দিচ্ছেন যে, তারাবিহের সালাতে কুরআন হাতে নিয়ে দেখে পড়া জায়েজ আছে। তাই আমি আপনার কাছে জানতে চাই তার ফতওয়া কতোটুকু ইসলামি শরিয়াত সাপোর্ট করে?

২. তিনি গতকাল ০১/০৫/২০২০ইং তে আবারও লাইভে এসে একটি নতুন ফতওয়া দিলেন যে, রিকশা ওয়ালারা রমজানের সিয়াম এই গরম কালে না রাখে তারা শীতের দিনে রাখবে, চাইলে তারা গরমের দিনে সিয়াম ছেড়ে দিতে পারবে, জায়েজ আছে। তাই হুজুরের নিকট আমার আকুল আবেদন এই যে দুটি ফতওয়া তা শরিয়তের ভাষায় কতটুকো ঠিক তা জানালে উপকৃত হবো।

সমাধানঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

১. ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নতসহ সকল নামাযে পবিত্র কুরআনে কারিম দেখে পড়া জায়েয নয়, দেখে পড়লে নামাজ হবে না, আর নামাজে কুরআনের পৃষ্ঠা উল্টালে আমালে কাছিরা হওয়ার কারনে নামাজ হবে না।

২. যারা রিক্সাওয়ালা বা মজদুরীর কঠিন কাজ করে, তাদের উচিত হবে পবিত্র মাহে রমাযানে তারা বিরতি দিয়ে দিয়ে কাজ করবে, কাজের ফাকে একটু আরাম করে নিবে, কারো অধিনস্ত হলে মালিক কর্মচারিকে আরামের সুযোগ দিবে, যদি মালিক এ সুযোগ না দেয় তবুও রোজা রাখতে হবে, মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর গরমের অযুহাতে রোজা ভেঙ্গে শীতকালে রোজা রাখার কথা বলা সঠিক নয়।

তবে পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে, পিপাসার কারনে মৃত্য হয়ে যাবে, তাহলে রোজা ভাঙ্গা যাবে, এবং পরে কাজা করে নিতে হবে।

সুত্রসমূহ

الدر المختار: 2/383-384 لا يجوز أن يعمل عملاً يصل به إلى الضعف، فيخبز نصف النهار ويستريح الباقي، فإن قال: لا يكفيني، كذب بأقصر أيام الشتاء، فإن أجهد الحر نفسه بالعمل حتى مرض فأفطر ففي كفارته قولان، قنية

فتاوی شامی: 2/420 ”(قوله: لا يجوز إلخ) عزاه في البحر إلى القنية. وقال في التا تارخانية: وفي الفتاوى سئل علي بن أحمد عن المحترف إذا كان يعلم أنه لو اشتغل بحرفته يلحقه مرض يبيح الفطر، وهو محتاج للنفقة هل يباح له الأكل قبل أن يمرض؟ فمنع من ذلك أشد المنع، وهكذا حكاه عن أستاذه الوبري، وفيها: سألت أبا حامد عن خباز يضعف في آخر النهار هل له أن يعمل هذا العمل؟ قال: لا ولكن يخبز نصف النهار ويستريح في الباقي، فإن قال: لا يكفيه، كذب بأيام الشتاء؛ فإنها أقصر فما يفعله اليوم اهـ ملخصاً.

(قوله: فإن أجهد الحر إلخ) قال في الوهبانية: فإن أجهد الإنسان بالشغل نفسه فأفطر في التكفير قولين سطروا، قال الشرنبلالي: صورته: صائم أتعب نفسه في عمل حتى أجهده العطش فأفطر لزمته الكفارة، وقيل: لا، وبه أفتى البقالي”۔ (২/ ৪২০، کتاب الصوم، ط: سعید)

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

Scroll to Top