ফতওয়া কোডঃ 202-সুই-27-12-1444
প্রশ্নঃ
আসসালামু আলাইকুম। একটি গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া জানা দরকার। আশাকরি উত্তর দিয়ে উপকৃত করবেন।
আমি একটি সরকারি সায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে পেনশন সিস্টেম চালুনাই। অবসর গ্রহনের সময় এক কালীন প্রভিডেন্ট ফান্টের টাকা ও গ্রাচুয়িটি প্রদান করে। চাকরি স্থায়ী হবার পর আমরা একটা দরখাস্ত দিয়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য টাকা কাটা চালু করি। সেক্ষেত্রে প্রতি মাসে আমাদের বেতনের ১০% কেটে রাখে এবং প্রতিষ্ঠান এর ফান্ড হতে ৮.৩৩% হারে আমাদের ১০% এর সাথে যোগ করে। এই টাকা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ব্যাংক বা সরকারি প্রজেক্টে ইনভেস্ট করে থাকে। পরবর্তীতে অবসর গ্রহনের সময় মোট টাকার সাথে অতিরিক্ত লাভের(সুদের) টাকা যোগ করে কর্মচারী কে প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে কোন কর্মচারী যদি দরখাস্ত না দেয় সেক্ষেত্রে প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য কোন টাকা কাটবেনা, সেক্ষেত্রে উক্ত কর্মচারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কোন প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পাবেনা। আরেকটি অপশন হলো দরখাস্ত দিয়ে সুদ মুক্ত করা। সেক্ষেত্রে চাকরি শেষে শুধু মুল টাকা পাবে অতিরিক্ত কোন টাকা পাবেনা।
কোন কোন আলেম প্রভিডেন্ট ফান্ডের অতিরিক্ত টাকাকে নেওয়া জায়েজ বলে মত দিয়েছেন, তারা এই টাকাকে সুদ বলেনা। আবার কেউ কেউ একে সুদবলে। বিধায় আমি দ্বীধাগ্রস্থ। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
সমাধানঃ
প্রভিডেন্ট ফান্ড দুই প্রকার। ১. বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড: প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ডে যতটুকু জমা করা আবশ্যক শুধু ততটুকু রাখা হলে জমাকৃত অংশ এবং অতিরিক্ত অংশ পুরোটাই বৈধ। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত অংশকে সুদ বলা হলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে তা সুদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
২. ঐচ্ছিক প্রভিডেন্ট ফান্ড: স্বেচ্ছায় প্রভিডেন্ট ফান্ডে যে টাকা জমা রাখা হয়, আবার যে কোন সময় উক্ত টাকা উত্তোলনের সুযোগও থাকে। তা সুদের সাথে সাদৃশ্য বিধায় হারাম হবে৷ তাই ঐচ্ছিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা বা নিজ প্রয়োজনে ব্যবহার করা সবই হারাম হবে৷ প্রশ্নোক্ত সুরতে প্রভিডেন্ট ফান্ডটি ঐচ্ছিক যা আপনি দরখাস্ত দিয়ে চালু করেছেন। সুতরাং আপনার জন্য বেতন থেকে কেটে রাখা জমানো টাকা ব্যতীত অতিরিক্ত গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
সুত্রসমূহ
الدرالمختارمع ردالمحتار: 7/400 هو لغة: مطلق الزيادة، وشرعا: (فضل) ولو حكما فدخل ربا النسيئة والبيوع الفاسدة فكلها من الربا فيجب رد عين الربا قائما لا رد ضمانه، لانه يملك بالقبض. قنية وبحر (خال عن عوض)خرج مسألة صرف الجنس بخلاف جنسه (بمعيار شرعي) وهو الكيل والوزن فليس الذرع والعد بربا(مشروط) ذلك الفضل (لاحد المتعاقدين) أي بائع أو مشتر فلو شرط لغيرهما فليس بربا بل بيعا فاسدا (في المعاوضة) فليس الفضل في الهبة بربا.
فتاوى عثماني: 3/308 جبری اور اختيارى دونوں كا حكم یہی ہے ۔ البتہ جو رقم اپنے اختيار سے کٹوائی گئی ہو اس پر ملنے والى زيادتى كو احطياطا صدقہ كردیں تو بہتر ہے
والله اعلم بالصواب
দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।