ফতওয়া কোডঃ 151-আমামা-10-08-1443
প্রশ্নঃ
১. মাদ্রাসার মুহতামিম যাকাত খাওয়ার যোগ্য হলে মাদ্রাসার যাকাত ফান্ড থেকে বেতন/ভাতা/খরচ নিতে পারবেন?
২. আমাদের এলাকার এক মাদ্রাসার মুহতামিম মাদ্রাসার বিবিধ ফান্ড (সাধারণ ফান্ড, মেহমান ফান্ড, নির্মাণ ফান্ড ইত্যাদি) থেকে নিজের প্রয়োজনে অতিরিক্ত টাকা খরচ করেছেন, নির্ধারিত ভাবে কোন ফান্ড থেকে কত টাকা খরচ করেছেন নিজের জন্য সেটা জানা নাই। এখন সে যে পরিমাণ টাকা নিয়েছিলেন সে পরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি টাকা মাদ্রাসায় দিয়ে দিতে চাচ্ছেন, এখন কি এই টাকা নির্ধারিত ফান্ডেই নিতে হবে? নাকি যেকোনো ফান্ডে নিলেই হবে?
সমাধানঃ
১. মাদরাসার মুহতামিম, অন্য কোন শিক্ষক বা কর্মচারীদেরকে যাকাত ফান্ড থেকে বেতন/ভাতা দেওয়া জায়েয নেই, চাই তারা যাকাত খাওয়ার উপযুক্ত হোক বা না হোক। তবে এ ক্ষেত্ৰে আসলে যদি কোন শিক্ষক বা কর্মচারী যাকাত খাওয়ার উপযুক্ত হয় তাহলে তাদের নিৰ্ধারিত বেতন ভাতা ছাড়া যাকাত ফান্ড থেকে সহযোগিতা করা যেতে পারে, বেতন ভাতা হিসাবে যাকাত দেওয়া জায়েয নেই।
২. মাদরাসার যাবতীয় ফান্ডের টাকা মুহতামিম সাহেব এবং অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীদের কাছে আমানত স্বরুপ, সুতরাং উক্ত টাকাগুলো যথাযথ হেফাজত করতে হবে এবং মাদরাসার প্ৰয়োজনেই খরচ করতে হবে। নিজের প্ৰয়োজনে মাদরাসার অতিরিক্ত টাকা খরচ করা জায়েজ নয়।
সুতরাং প্ৰশ্নে উল্লেখিত মুহতামিম সাহেব এর জন্য মাদরাসার ফান্ডের টাকা নিজ প্ৰয়োজনে খরচ করা বৈধ হয়নি, তবুও যেহেতু খরচ করেছে এবং কোন ফান্ড থেকে কত টাকা নিয়ে খরচ করেছে তার নিৰ্ধারিত পরিমান জানা নাই, অতএব মোট টাকা যে পরিমান খরচ করেছে তা সাধারন ফান্ডে জমা দিবে এবং এ ধরনের কাজ থেকে তাওবাহ করবে। অদূর ভবিষ্যতে যেন এমনটি না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখবে।
সুত্রসমূহ
الدر المختار: كتاب الزكاة, ولو دفعها المعلم لخليفته ان كان بحيث يعمل له لو لم يعطه والا فلا وفي ردالمحتار ( قوله والا فلا ) لان المدفوع يكون بمنزلة العوض
الفتاوي الهندية: كتاب الزكاة الباب السابع المصارف
احسن الفتاوي: 4/252
الموسوعة الفقهية: ( تحقيق لفظ الوديعة ) وقد نبه الفقهاء الي تمييز عقد الوديعة واختصاصه من بين ساءر عقود الامانة بان موضوعه و مقصده الاساسي الاءتمان علي الحفظ دون اي غرض اخ كالتصرف او الانتفاع او غير ذلك وذلك لتمضه وتجرده للحفظ فقط
الدرالمختار: 4/494
البحر الرايق: 7/273
الفتاوى الهندية: في كتاب الوديعة
والله اعلم بالصواب
দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।