এবছর (১৪৪৫ হিজরী) এর সর্বনিম্ন ফিতরা ১০০/=, সর্বোচ্চ ৩,৫৬০/= টাকা।

ঈদের নামাজের খতিবের জন্য যে টাকা মুসল্লিদের থেকে উত্তোলন করা হয় তা অন্য কোন ফান্ডে খরচ করা অবৈধ

ফতওয়া কোডঃ 156-জুই-21-09-1443

প্রশ্নঃ

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। হযরত, আশা করি আল্লাহর ফজলে ভালো ও সুস্থ থেকে দ্বীনী খিদমাহ আনজাম দিয়ে যাচ্ছেন, আমার জানার বিষয় হলোঃ

ঈদের নামাজের খতিবের জন্য নামাজ পড়ানোর হাদিয়ার নামে যে টাকা মুসল্লিদের থেকে উত্তোলন করা হয় এবং মুসল্লিগণ ও স্বেচ্ছায় যে হাদীয়া ইমামের জন্য (টাকা উত্তোলন কারীদের হতে) দিয়ে থাকেন, সে টাকা কি সম্পূর্ণ ইমামামের হক? নাকি সেই টাকা হতে ইমাম কে কিছু দিয়ে বাকি টাকা সমাজের ফান্ডে জমা রাখা জায়েজ? এমনটি করলে কি গোনাহ হবে?

উক্ত মাসআলার শরঈ সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন বলে আশাবাদী, জাজাকুমুল্লাহ খায়রান।

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

মূলত এই বিষয়টি যারা টাকা দান করছেন তাদের নিয়তের উপর নিৰ্ভরশীল। তবে উল্লেখিত প্ৰশ্নের বিবরণ অনুযায়ী বোঝা যাচ্ছে যে, মুসুল্লী কতৃক ইমাম সাহেব কে যে টাকা হাদিয়া বা দান করছে তা মূলত ঈদের ইমামতি বাবদ শুধুমাত্ৰ ইমাম সাহেবকেই দেওয়া উদ্যেশ্য। অন্য কোন ফান্ডের জন্য নয়। সুতরাং ইমাম সাহেবকে হাদিয়া দেওয়ার জন্য যে টাকা উত্তোলনকারীদের হাতে বা নিজেরা স্বেচ্ছায় দিচ্ছে তা মূলত ইমাম সাহেবের হক। কিছু টাকা ইমাম সাহেবকে দিয়ে বাকি টাকা অন্য কোন ফান্ডে খরচ করা বৈধ নয়।

সুত্রসমূহ

ردالمحتار: 4/459 وفي الاسعاف .ولا يجوز له ان يفعل الا ما شرط وقت العقد .اه.وفي فتاوي الشيخ القاسم ومت كان من شرط معتبر في الوقف فليس للواقف تغييره ولا تخصيصه بعد تقرره ولا سيما بعد الحكم

مجمع الانهر: كتاب الوقف

فتح القدير: كتاب الوقف

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

Scroll to Top