এবছর (১৪৪৫ হিজরী) এর সর্বনিম্ন ফিতরা ১০০/=, সর্বোচ্চ ৩,৫৬০/= টাকা।

মৃত্যু দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকঢোল পিটিয়ে কুরআন খতম করা কেমন?

ফতওয়া কোডঃ 209-বিপ্র-02-06-1445

প্রশ্নঃ

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ! হুজুর আমার একটা প্রশ্ন ছিল:-
ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে মৃত্যু দিবস পালনের বিধান কি? বা সেই উপলক্ষ্যে ঢাকঢোল পিটিয়ে কুরআন খতম করা, বা অধিনস্থ ছাত্রদেরকে কুরআন খতম করাতে বাধ্য করা, মাসজিদের ভিতর ব্যানার লাগিয়ে অনুষ্ঠান করা। ছাত্রদের এবং কুরআন খতমের ছবি তুলে হুজুরদের নিজ উদ্যোগে সেগুলো প্রচার করা, এব্যাপারে কুরআন হাদিসের হুকুম কি?

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা এবং একে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ইসলামের শিক্ষা নয়। এগুলো বিজাতীয় সংস্কৃতি। এসকল অহেতুক কাজ থেকে মুসলমানদের বিরত থাকা আবশ্যক। শরীয়তে জন্ম দিবস বা মৃত্যু দিবসের আলাদা কোনো গুরুত্ব নেই। বিশেষভাবে এই দিনে কোনো ধরনের আমল বা ইবাদতের বিধান নেই।

আর মৃতব্যক্তিদের জন্য ঈসালে সাওয়াব করা শরীয়ত স্বীকৃত। তবে এর জন্য কোনো দিনক্ষণ নির্দিষ্ট নেই। বরং যে কোনো সময় বা দিনে নফল নামায, দান-সদকা, দুআ ইত্যাদির মাধ্যমে ঈসালে সাওয়াব করা যেতে পারে। কোনো নির্দিষ্ট দিনে বা সময়ে করলে বিশেষ সাওয়াব পাওয়া যাবে এমন নয়। সালাফে সালেহীন তথা স্বর্ণযুগেও নির্দিষ্ট দিনে মৃতের জন্য এ ধরনের ঈসালে সাওয়াবের আয়োজন করার কোনো প্রমাণ নেই। সুতরাং জন্মদিবস, মৃত্যুদিবস পালন বা এ সংক্রান্ত কোনো অনুষ্ঠান শরীয়তসম্মত নয়। তবে নাজায়েয কাজে যদি কেউকে বাধ্য করা হয়, এগুলোর সাথে ছবি-ভিডিওর ব্যপার চলে আসে এবং এগুলোকে কোন গুনাহ না মনে করা হয় তাহলে এটা কুফরীর পর্যায়ে চলে যায়।

সুত্রসমূহ

رد المحتار: 3/148 ويكره اتخاذ الطعام في اليوم الأول والثالث وبعد الأسبوع ونقل الطعام إلى القبر في المواسم، واتخاذ الدعوة لقراءة القرآن وجمع الصلحاء والقراء الختم….وإن اتخذ طعاما للفقراء كان حسنا

رد المحتار: 3/151 بأن للإنسان أن يجعل ثواب عمله لغيره صلاة أو صوما أو صدقة أو غيرها.

الفتاوى البزازية: 1/54

فتح القدير: 20/151

مسند أحمد: إياكم ومحقرات الذنوب فإنهن يجتمعن على الرجل حتى يهلكنه

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

Scroll to Top