বিবিধ লেনদেন

ক্রয়-বিক্রয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে যাকাতযোগ্য ব্যক্তি ঐচ্ছিক যাকাত গ্রহন করা কি বৈধ?

ফতওয়া কোডঃ 161-বিলে,ব্যবা-08-11-1443

প্রশ্নঃ

আসসালামু আলাইকুম, মুহতারাম, একজন ক্রেতা আমার মাল কেনা দাম হতেও কমে নিতে চাচ্ছে, সাথে যেহেতু আমি যাকাতের মুস্তাহিক, তাই ক্রেতা আমাকে তার যাকাতও দিচ্ছে। এতে কোন পক্ষের জন্য শরীয়ত এর দিক থেকে কোন অসুবিধা আছে কিনা? কেমন যেন তার যাকাতের এমাওউন্ট এর কারনে আমার লসে বিক্রিও পোষায়ে যাচ্ছে।

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে সম্পৃক্ততা নেই এমন কোন শর্ত করলে ক্রয়-বিক্রয় বাতিল হয়ে যায়। প্রশ্নোক্ত সুরতে কেনা দাম থেকে কমে বিক্রির চুক্তির সাথে যদি যাকাত গ্রহণের শর্ত করা হয় তাহলে বিক্রয় ফাসিদ বলে গণ্য হবে। তবে যাকাত গ্রহণের শর্ত ব্যতীত কেনা দামের চেয়ে কমে বিক্রি করাতে কোন সমস্যা নেই।

সুত্রসমূহ

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار): 86/5 وفي الخلاصة: اشترى عبدا على أن يبيعه جاز، وعلى أن يبيعه من فلان لا يجوز؛ لأن له طالبا. ونقل في الفتح أيضا عبارة الخلاصة وأقرها. والظاهر أن وجهها كون بيع العبد ليس فيه نفع له، فإذا شرط بيعه من فلان صار فيه نفع لفلان وهو من أهل الاستحقاق فيفسد

البحر الرائق شرح كنز الدقائق: 99/16 وعلى أن يبيعه من فلان لا يجوز لأن له طالبا

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار): 4/591 وشرط بيع العبد إلا إذا قال: من فلان بأن قال: بعتك العبد على أن تبيعه من فلان فإنه يفسد؛ لأن له طالبا،” قره عين الأخيار لتكملة رد المحتار علي الدر المختار (8/ 183) “قلت: وبالقيل جزم في الخلاصة والبزازية وغيرهما، وكذا قاضيخان من باب ما يدخل في البيع تبعا من الفصل الاول، ومثله في الاشباه من العارية، لكن فيه أن الشرط إذا كان لا يقتضيه العقدلا يلائمه وفيه نفع لاحد المتعاقدين أو لآخر من أهل الاستحقاق ولم يتعارف بين الناس يفسد البيع

بدائع الصنائع في ترتيب الشرائع: 3/12 لأن الشرط الذي يخالف مقتضى العقد مفسد في الأصل وشرط الرهن والكفالة مما يخالف مقتضى العقد؛ فكان مفسدا إلا أنا استحسنا الجواز

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار): 86/5 قال في البحر: كأن اشترى طعاما بشرط أكله أو ثوبا بشرط لبسه فإنه يجوز. اهـ تأمل (قوله ولو أجنبيا) تعميم لقوله لأحد، وبه صرح الزيلعي أيضا (قوله فلو شرط إلخ) تفريع على مفهوم التعميم المذكور، فإن مفهومه أنه لو كان فيه نفع لأجنبي يفسد البيع؛ كما لو كان لأحد المتعاقدين (قوله أو أن يقرضه) أي أن يقرض فلانا أحد العاقدين كذا، بأن شرط المشتري على البائع أن يقرض زيدا الأجنبي كذا من الدراهم أو شرط البائع على المشتري ذلك (قوله فالأظهر الفساد) وبه جزم في الفتح بقوله: وكذا إذا كانت المنفعة لغير العاقدين، ومنه إذا باع ساحة على أن يبني بهامسجدا أو طعاما على أن يتصدق به فهو فاسد. اهـ. ومفاده أنه لا يلزم أن يكون الأجنبي معينا، وتأمله مع ما قدمناه آنفا عن الخلاصة، إلا أن يجاب بأن المسجد والصدقة يراد بهما التقرب إلى الله تعالى وحده، وإن كانت المنفعة فيهما لعباده، فصار المشروط له معينا بهذا الاعتبار تأمل

ضوابط: 2/53 ہر وہ شرط جو مقتضاۓ عقد یا ملائم عقد ہو یا لوگوں میں متعارف وہ بیع میں جائز ہے ۔اور جوشرط ایسی نہ ہو اوراس میں بائع یا مشتری یا شیع کا نفع ہو تو وہ جائز نہیں، اس سے بیع فاسد ہو جائے گی۔

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

রাইস মিল মালিকের সাথে ধান-চাল ক্রয়-বিক্রয় সম্বন্ধে বিবিধ ফতওয়া

ফতওয়া কোডঃ 160-বিলে,ব্যবা-05-11-1443

প্রশ্নঃ

১ . কোন ব্যক্তি রাইস মিল মালিককে চাল ক্রয় বাবদ ৫০,০০০ হাজার টাকা দিল এই শর্তে যে এ মুহূর্তে সে চাল নিবে না, বরং বছরের যে কোনো সময় (তখন চালের দাম কমে যাক বা বেড়ে যাক) ঐ চালের তৎকালীন বাজারমূল্য মিল মালিক হতে গ্রহণ করবে।

২. কোন ব্যক্তি রাইস মিল মালিককে ১০০ বস্তা ধান দিল এবং শর্তারোপ করল, বছরের যে কোনো সময় ঐ ধানের চলমান বাজারমূল্য মিল মালিক হতে গ্রহণ করতে পারবে।

৩. মাল গোডাউনে রেখে শুধুমাত্র মেমো ক্রয়-বিক্রয় করা কতটুকু শরীয়ত সম্মত?

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

১. এই ভাবে ক্ৰয় বিক্ৰয় জায়িয হবেনা, কারন এখানে ক্ৰয় বিক্ৰয়ের চুক্তির মাঝে এমন শর্ত আরোপ করেছে যা ক্ৰয় বিক্ৰয়ের চুক্তি বহিৰ্ভুত। আবার মেয়াদটাও অনিৰ্ধারিত, যা ঝগড়া ফাসাদের কারন হতে পারে। এ জন্য উক্ত ক্ৰয়-বিক্ৰয় শরিয়ত সম্মত নয়।

২. প্রশ্ন থেকে বোঝা যাচ্ছে, বিক্ৰেতা রাইস মিল মালিকের কাছে ১০০ বস্তা ধান দিলো, তখন বিক্ৰয় চুক্তি সম্পাদন করে নাই। বরং ভবিষ্যতে এ বিক্ৰয় করার ওয়াদা করা হয়েছে যে, বছরের যেকোন সময় উক্ত ধানগুলোকে বাজার মুল্যে আপনার কাছে বিক্ৰি করে দিবে। সুতরাং তখন এটা بيع হিসাবে গন্য হয়নি। বরং এটা البيع بالوعدة হিসাবে গন্য হয়েছে। অত‌এব পরবৰ্তিতে যখন উভয়ে বাজার মুল্যে ক্ৰয়-বিক্ৰয় করবে তখন তা البيع بالتعاطي হিসাবে গন্ন হবে। আর এ ধরনের ক্ৰয় বিক্ৰয় জায়িয আছে।

৩. অস্থাবর স্থানান্তরযোগ্য পন্য হস্তগত না করে গোডাউনে শুধু পেপারস/মেমো ক্ৰয় বিক্ৰয় করা শরিয়ত সম্মত নয়। নবীয়ে করীম সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পন্য হস্থগত করার আগে বিক্ৰি করতে কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন।

হযরত হাকিম ইবনে হিযাম রা. বলেনঃ আমি রসুল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করি, হে আল্লাহর রসূল আমি পন্য ক্ৰয়-বিক্ৰয় করি এর কোন পন্থাটি হালাল আর কোনটা হারাম? রসুল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ যখন তুমি কোন পন্য ক্ৰয় করবে তখন তা হস্তগত করার আগে অন্যত্ৰ বিক্ৰি করবেনা।

সুত্রসমূহ

سنن ابي داود و سنن الترمذي و سنن النساي و سنن ابن ماجه: قال رسول الله صلي.لا يحل سلف وبيع ولا شرطان في بيع

البحر الرائق: كتاب البيوع..باب بيع الفاسد….اشار المصنف.بالعتق وما عطف عليه الي كل شرط لا يقتضيه العقد ولا يلاءمه…وفيه منفعة لاحد المتعاقدين او للمعقود عليه

فتح القدير: كتاب البيوع, باب البيع الفاسد

بدائع الصنائع: كتاب البيوع, فصل في شرائط الصحة في البيوع

المبسوط للسرخسي: كتاب البيو ع, باب البيوع اذا كان فيها شرط

سورة البقرة: 257 احل الله البيع وحرم الربي

ابن ماجة: يا معشر التجار ان بيعكم هذا يحضره اللغو و الكذب فشوبوه بالصدقة

فتح القدير: كتاب البيوع..اما ركنه فالفعل المتعلق بالبدلين من المتاطبين او من يقوم. مقامهما الدال علي الرضا بتبادل الملك فيهما

البحر الرائق: كتاب البيوع, ان ركنه الايجاب والقبول الخ

الدر المختار: كتاب البيوع, و شرعا مبادلة شىء مرغوب فيه بمثله علي وجه مخصوص, اي بايجاب او تعاط

فتح القدير: كتاب البيوع, باب البيع الفاسد

سنن ابي داود و سنن الترمذي و سنن النساي: حديث حكيم بن حزام لا تبع شيءا حتي تقبضه

بدائع الصنائع: 5/181

شرح فتح القدير: 6/510

تبيين الحقائق: 4/79

المبسوط للسرخسي: 9/10-13

البحر الرائق: 6/126

الفقه الاسلامي و ادلته: 5/175

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

কোম্পানী পক্ষ থেকে ডাক্টারদেরকে দেয়া উপহার ডাক্টার গ্রহন করতে পারবে কি?

ফতওয়া কোডঃ 141-বিলে,হাহা-03-07-1443

প্রশ্নঃ

কোম্পানী ডাক্টারদেরকে নিজ প্রতিষ্ঠানের ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লেখার শর্তে বিভিন্ন গিফ্ট (টাকা, বিভিন্ন পন্য) প্রদান করে থাকে, জানার বিষয় হলোঃ উক্ত গিফ্ট ডাক্টার গ্রহন করতে পারবে কি না? তা ব্যবহার করতে পারবে কি না?

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

আমাদের দেশে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ডাক্তারদেরকে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানী যে নানা রকম উপহার সামগ্রী দিয়ে থাকেন, যেমন কাউকে নগদ অর্থ দিয়ে থাকেন আবার কাউকে বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। অনুসন্ধান করে জানা যায় যে, ঔষধ কোম্পানী ডাক্তারদের যা দেয় তা তিন ধরনের।

১. অনেক সময় ডাক্তারদেরকে ঔষধ কোম্পানী তাদের প্ৰোডাক্ট এর পরিচিতির জন্য কোন ছোট এবং কম দামী উপহার ইত্যাদি দিয়ে থাকেন যেমনঃ কলম, রাইটিং প্যাড, ডায়েরী, মগ, ইত্যাদি; এটা এক ধরনের হাদিয়া।

২. ডাক্তারদের অনেক সময় অনেক মূল্যবান, দামী কিছু দেওয়া হয় অথবা অঘোষিত চুক্তির ভিত্তিতে টাকা-পয়সা, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি দেওয়া হয়, তাদের মাঝে যদিও কোন লিখিত চুক্তি থাকেনা, কিন্তু এসব মূল্যবান উপহার, নগদ অর্থ এবং অন্যান্য ভালো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পেছনে বিশেষ কারন থাকে যে, তিনি ঐ কোম্পানীর ঔষধ প্ৰেসক্ৰাইব করবেন।

৩. অনেক সময় ডাক্তারদের চুক্তির আওতায় আসতে হয়, অর্থাৎ আপনি আমাদের প্ৰোডাক্টগুলোই শুধু মাত্ৰ প্ৰেসক্ৰাইব করবেন বা বেশী পরিমানে প্ৰেসক্ৰাইব করবেন অথবা এ পরিমান প্ৰেসক্ৰাইব করবেন। তার বিনিময়ে আপনাকে এটা দেওয়া হবে, বা চুক্তি অনুযায়ী কমিশন (টাকা) দেওয়া হবে।

উল্লেখিত তিন অবস্থার মধ্যে প্রথম অবস্থায় অর্থাত ছোট খাটো কোন উপহার যেমন কলম, রাইটিং প্যাড, ডায়েরী, এ ধরনের সামান্য ছোট উপহার গ্ৰহন করতে কোন অসুবিধা নেই, কারন এ উপহারের মাধ্যমে চিকিৎসকের উপর কোনরুপ চাপ সৃষ্টি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কেননা এ উপহারগুলো ডাক্তারদের ছাড়াও অন্যদেরকেও দেওয়া হয়।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থায় নির্ভরযোগ্য উলামায়ে কিরামগনের গবেষনা অনুযায়ী এটি গ্ৰহন করা কোন চিকিৎসকের জন্য কোন ভাবেই জায়েয নেই। কেননা এটা এক প্রকার ঘুষ। সুতরাং তা গ্ৰহন করা এবং ব্যাবহার করা উভয়টাই নাজায়েয ও হারাম।

এক হাদিসে আছে যে, রসুলুল্লাহ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন ব্যাক্তিকে পাঠালেন রাষ্ট্রীয় কোষাগারের (বাইতুল মালের) পক্ষ থেকে যাকাত উসুল করার জন্য, তিনি যাকাত এবং সাদকা উসুল করে নিয়ে আসার পরে রসুলুল্লাহ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললেন, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমি দাতার পক্ষ থেকে যে যাকাত বা সাদকা উসুল করে নিয়ে এসেছি এর মধ্যে দাতা এই পরিমান সম্পদ দিয়েছেন বাইতুল মাল তথা রাষ্ট্ৰীয় কোষাগারের জন্য, আর এটা আমাকে তিনি ব্যাক্তিগত ভাবে ব্যবহারের জন্য দিয়েছেন, রসুলুল্লাহ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই লোকটির আচারন দেখে উপস্থিত লোকদেরকে জমায়েত করে আল্লাহ তাআলার প্ৰশংসা করে সংক্ষিপ্ত এক ভাষন দিলেন, পুরো পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি বললেনঃ তোমাদের কাওকে যখন কোন দায়িত্ত্ব পালন করতে দেওয়া হয় তখন অন্য পক্ষের পক্ষ থেকে তিনি যে উপহার নিচ্ছেন, তিনি যদি এই দায়িত্ত্বে নিয়োজিত না থাকতেন তাহলে কি তাকে এই উপহার দেয়া হতো? বা তিনি যদি নিজ বাড়ীতে বসে থাকতেন তাহলে কি তাকে কেউেএই উপহার দিত? এই হাদীসে রসুলুল্লাহ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই ধরনের উপহার নেওয়াকে নাজায়েয ও হারাম আখ্যয়িত করেছেন।

সুতরাং একজন চিকিৎসক নির্দিষ্ট ফি (সরকারি/বেসরকারি বেতন) এর বিনিময়ে রোগীকে সময় দিচ্ছেন, তাই এ ক্ষেত্রে ডাক্টার সাহেবের জন্য কোন কোম্পানী বা অন্য কারো পক্ষ থেকে হাদিয়া নেওয়া, তথাকথিত উপঢৌকন নেওয়া বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহন করা শরীয়ত সম্মত নয়, এবং তা ব্যাবহার করাও জায়েয নাই।

সুত্রসমূহ

المصباح المنير: الرشوة ما يعطيه الشخص للحاكم او غيره ليحكم له اويحمله علي ما يريد

سنن الترمذي: 3/614 عن عبد الله بن عمرو رض…قال لعن رسول الله صلي الله عليه وسلم الراشي والمرتسي

مسند احمد: رقم 6778

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

সুদের টাকা মিথ্যা মামলার খরচ বহনের জন্য ব্যয় করা যাবে?

ফতওয়া কোডঃ 136-বিলে,সুই-20-06-1443

প্রশ্নঃ

আসসালামু আলাইকুম৷ ব্যাংক এ টাকা জমা থাকার কারনে কিছু টাকা (৬০,০০০) সুদ পেয়েছি৷ একটা মিথ্যা মামলার খরচ বহনের জন্য উকিল, পুলিশ, আদালত এ এই টাকা খরচ করা যাবে কি?

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

শরীয়তে ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত সুদের টাকা দিয়ে কোনো ধরণের উপকার নেয়া জায়েয নেই৷ বরং ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত সুদের টাকা সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিবদের মধ্যে অথবা জনকল্যাণমূলক কাজে দান করে দিতে হবে। সাওয়াবের নিয়ত করা যাবে না, কারণ সুদী পন্থায় অর্জিত অর্থের প্রকৃত মালিক আপনি নন। সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুদের টাকা দিয়ে মিথ্যা মামলার কাজে খরচ করা জায়েয নেই৷ কেননা, এটা করা মানে সুদের সুবিধা গ্রহণ করা; যা হারাম।

সুত্রসমূহ

مسند احمد: رقم 3809 لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.

احسن الفتاوى: 7/16

فتاوى فقيه الملت: 10/126

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

ফ্লেক্সিলোড বা রিচার্জ এর পরিবর্তে দেয়া ক্যাশব্যাক হালাল

ফতওয়া কোডঃ 113-বিলে,হাহা-06-05-1443

প্রশ্নঃ

ফ্লেক্সিলোড বা রিচার্জ এর পরিবর্তে দেয়া ক্যাশব্যাক কি হারাম? আওয়ার ইসলামে হারাম হওয়ার ফতওয়া দেখলাম!

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

ফ্লেক্সিলোড বা রিচার্জ এর পরিবর্তে দেয়া ক্যাশব্যাক কোম্পানির পক্ষ থেকে করয বা আমানত নয়, বরং এটা ইনআম তথা পুরস্কার ও উপহারের অন্তর্ভুক্ত, যা গ্রহণ করা শরিয়ত সম্মত। তাই এই ক্যাশব্যাক সম্পূর্ন হালাল।

আওয়ার ইসলাম কোন ফতওয়ার কিতাব নয়, তাই তাদের প্রকাশিত “ক্যাশব্যাক হারাম” বিষয়ক ফতওয়া সঠিক নয়। এ ব্যাপারে তাদের আরো তাহকিক করা উচিত।

সুত্রসমূহ

فتاوی شامی: 5/166 وفي الأشباه: كل قرض جر نفعاًحرام، فكره للمرتهن سكنى المرهونة بإذن الراهن

اعلاء السنن: 14/513 قال ابن المنذر: أجمعوا علی أن المسلف إذا شرط علی المستسلف زیادة أو هدیة فأسلف علی ذلک، إن أخذ الزیادة علی ذلک ربا

الفتاوٰی الهندیة: 3/117 وھو فی الشرع عبارۃ عن فضل مال لایقابله عوض فی معاوضۃ مال بمال وھو محرم فی کل مکیل وموزون بیع جنسه وعلته القدروالجنس وان وجدالقدر والجنس حرم الفضل والنساء وان وجداحدھماوعدم الاٰخر حل الفضل وحرم النساء

البحر الرائق: 6/198 ویجوز للمشتري أن یزید للبائع في الثمن ویجوز للبائع أن یزید للمشتري في المبیع ، ویجوز أن یحط من الثمن

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

ভোটের জন্য লেনদেন হারাম, মারাত্বক গুনাহের কাজ!

ফতওয়া কোডঃ 105-বিলে-22-04-1443

প্রশ্নঃ ভোট দিতে টাকা নেওয়া-দেওয়া কেমন? বর্তমানে এই লেনদেন ব্যাপক আকারে চলছে, বিস্তারিত জানাবেন।

উত্তর : بسم اللہ الرحمن الرحیم

ভোটের জন্য লেনদেন হারাম, মারাত্বক গুনাহের কাজও বটে। কেননা এটা স্পষ্ট ঘুষ, আর ঘুষ হারাম। তাই এধরনের লেনদেন থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

সুত্রঃ রদ্দুল মুহতারঃ ৫/৩৬২, মাজমাউয যামানাতঃ পৃ:- ১৭৮

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

আর্থিক সংস্থা-সংগঠন বিলুপ্তি পর বেঁচে যাওয়া টাকার মালিক কে?

ফতওয়া কোডঃ 27-অলে-28-10-1442

প্রশ্নঃ

আমাদের একটি সংস্থা বা সংগঠনের ফান্ড আছে, সংগঠনের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ, ফান্ডে কিছু টাকা বেঁচে আছে, এখন এই টাকার হুকুম কি?

সমাধানঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

উক্ত সংস্থা বা সংগঠনের ফান্ডে বেঁচে যাওয়া টাকা সমূহের মালিকরা/সদস্যগণ যদি উক্ত টাকার ওপর মালিকানা ছেড়ে দিয়ে থাকেন বা ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বশীলকে খরচের অনুমতি প্রদান করে থাকেন, তাহলে সেটা দান করাসহ যেকোন কাজে খরচ করা বৈধ হবে। অন্যথায় মালিকদের মালিকানা টাকা হিসেবে উক্ত টাকা মালিকদের নির্দেশনা মোতাবেক খরচ করতে হবে।

সুত্রসমূহ

فتاوى محمودية: 6/260

فتاوى فقيه الملت: 12/321

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading