পবিত্রতা

উযুর সময় দাত দিয়ে কিছু রক্ত বের হতেই থাকে, আমার করনীয় কি?

ফতওয়া কোডঃ 140-প-29-06-1443

প্রশ্নঃ

আমার উযু করার সময় মিসওয়াক করার পর থেকে দাত দিয়ে কিছু রক্ত বের হতেই থাকে, যতবার উযু করবো ততোবার বের হয়, এখন আমি কি মাযুর? আমার উযু কি হবে? আমার করনীয় কি?

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

শরয়ীভাবে মা’যুর প্রমাণিত হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত এবং কোনো একটি সময়ও মাযুর ব্যক্তি এমন না পায় যে সে অযু করে শুধু ফরজ নামাজটি পড়তে পারে৷

মুখ থেকে রক্ত বের হলে, যদি রক্তের পরিমাণ থুথু থেকে অধিক অথবা সমান হয়, তাহলে উযু ভেঙ্গে যাবে৷ শরয়ী দৃষ্টিতে মিসওয়াক হল সুন্নত যা না করলেও উযু-নামায সহিহ হবে৷ ছেড়ে দিলে গুণাহ হবে না৷ আর জামাতে ও ওয়াক্তের ভেতরে নামায আদায় করা আবশ্যক, ইচ্ছাকৃত তা ছেড়ে দিলে গুণাহ হবে, তবে ওযর থাকলে ভিন্ন কথা৷ সুতরাং আপনার যদি ওয়াক্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত রক্ত বের হতে থাকে তাহলে আপনি মাযুর হবেন, অন্যথায় নয়৷

আর রক্তের পরিমান যদি সামান্য হয় তাহলে উযু ভাঙ্গবে না৷ আর যদি সর্বদা এমন হয়, তাহলে আপনি রক্ত বন্ধ হওয়ার চিকিৎসা নিন, অন্যথায় এই মুহুর্তে মিসওয়াক না করাই ভাল, কেননা তা দ্বারা জামাত এবং নামায কাযা হতে পারে৷

সুত্রসমূহ

المصنف ابن ابي شيبة: 1/125 عَنْ إِبْرَاهِيمَ فِي الرَّجُلِ يَبْزُقُ فَيَكُونُ فِي بُزَاقِهِ الدَّمُ، قَالَ: «إِذَا غَلَبَتِ الْحُمْرَةُ الْبَيَاضَ تَوَضَّأَ، وَإِذَا غَلَبَ الْبَيَاضُ الْحُمْرَةَ لَمْ يَتَوَضَّأْ

الفتاوي الهندية: 1/40 شرط ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا يثبت ما لم يستوعب الوقت كله

الدر المختار مع رد المحتار: 1/504-505 وصاحب عذر من به سلس) بول لا يمكنه إمساكه (أو استطلاق بطن أو انفلات ريح أو استحاضة) أو بعينه رمد أو عمش أو غرب، وكذا كل ما يخرج بوجع ولو من أذن وثدي وسرة (إن استوعب عذره تمام وقت صلاة مفروضة

بأن لا يجد في جميع وقتها زمنا يتوضأ ويصلي فيه خاليا عن الحدث (ولو حكما) لأن الانقطاع اليسير ملحق بالعدم (وهذا شرط) العذر (في حق الابتداء، وفي) حق (البقاء كفى وجوده في جزء من الوقت) ولو مرة (وفي) حق الزوال يشترط (استيعاب الانقطاع) تمام الوقت (حقيقة) لأنه الانقطاع الكامل

وحكمه الوضوء) لا غسل ثوبه ونحوه (لكل فرض) اللام للوقت كما في – {لدلوك الشمس} [الإسراء: 78]- (ثم يصلي) به (فيه فرضا ونفلا) فدخل الواجب بالأولى (فإذا خرج الوقت بطل) أي: ظهر حدثه السابق

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

সন্তান লালন-পালন একটি ইবাদত, বাচ্চার বমি লাগলে কি করনীয়? বাচ্চার কাপালে টিপ দেয়া যাবে?

ফতওয়া কোডঃ 139-তাত,প-28-06-1443

প্রশ্নঃ

১. বাচ্চার বমি কি নাপাক?
২. কাপড়ে বমি লাগলে ঐ কাপড় নাপাক?
৩. বাচ্চার কপালে কালো টিপ দেয়া জায়েয?
৩. বাচ্চার জন্য এত কষ্ট মেহনত করা কি ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত?
৪. বাচ্চার লালন-পালনের কষ্টে সবর করলে কি আখিরাতে তার জাযা পাওয়া যাবে?

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

১. বাচ্চ‍‍া‍র বমি নাপাক।

২. (ক) কাপড়ে বমি লাগলে কাপড় নাপক হয়ে যাবে, কারন বমি নাপক। (খ) কাপড়ে নাপাক লেগেছে কিন্তু তা শুকিয়ে যাওয়ার কারনে নিশ্চিত ভাবে ঐ নাপাকের জায়গা বোঝা যাচ্ছেনা, তাহলে এ ক্ষেত্ৰে পুরা কাপড়টাই ধৌত করতে হবে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন যে, ان خفي عليه مكانه و علم انه قد اصابه. غسل الثوب كله অর্থঃ যদি নাপাকীর জায়গা অজ্ঞাত হয়ে যায় তবে নিশ্চিত ভাবে জানা থাকে যে কাপড়ে নাপাক লেগেছিল, তাহলে পুরো কাপড় ধৌত করতে হবে। (গ) সর্বদা পবিত্ৰ কাপড় পরিধান করা উত্তম এবং তা শরীয়তে অনেক পছন্দনীয় আমল, তবে প্ৰশ্নোক্ত‍‍‍ ক্ষেত্ৰে যেহেতু আপনার বারবার কাপড় পরিবর্তন করা কষ্টকর হচ্ছে, সে ক্ষেত্ৰে আপনি নামাযের জন্য পাক পবিত্ৰ এক জোড়া কাপড় রেখে দিবেন, নামাযের সময় হলেই ঐ পাক পবিত্ৰ কাপড় পড়ে নামায পড়বেন, তারপর আপনি অন্যান্য সময় অন্য কাপড় পরিধান করতে পারেন।

৩. বাচ্চাদের কপালে কালো টিপ দেওয়া জায়েয নেই, এটি নিছক কু-সংস্কার ছাড়া কিছু না, একজন মুসলিম হিসাবে এ জাতীয় কু-সংস্কার পরিহার করা উচিৎ, কারন এটি হিন্দুদের প্ৰথা ও সাংস্কৃতি। দ্বিতীয়তো এটি বদ নজরকে রোধ করতে পারেনা। শিশুকে বদ নজর ইত্যাদি থেকে রক্ষা করার জন্য কি করতে হবে রসুল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা শিক্ষা দিয়েছেন, হাদীসে এসেছে রসুল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত হাসান ও হুসাইন রা. এর জন্য এই দুআ করতেন اعيذ كما بكلمات الله التامة من كل شيطان و هامة ومن كل عين لامة

অন্য হাদীসে বর্নিত হযরত জিব্ৰাঈল আঃ কর্তৃক রসুল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ঝাড়-ফুকের দুআ দ্বারাও শিশুকে ঝাড় ফুক দেওয়া যেতে পারে, আয়াতুল কুরসী এবং সুরা নাস-ফালাক, ইখলাস পড়েও শিশুকে বদ নজর থেকে রক্ষার জন্য ঝাড়-ফুক দেওয়া যেতে পারে।

৪+৫. সন্তান আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নিয়ামত এবং পিতা মাতার নিকট আমানত, পিতা মাতার কর্তব্য হলো সন্তানকে আল্লাহর ফরমাবরদার বান্দা হিসাবে গড়ে তোলা, শয়তানের সব ধরনের গোলামী থেকে দুরে রাখা, শয়তান চায় প্ৰততেকটা মানব শিশুকে অংকুরেই ধ্বংস করতে, সুতরাং শয়তান যেন মানব শিশুকে পথ ভ্ৰষ্ট করতে না পারে। এই জন্য পিতা মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো সন্তানকে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে প্ৰকৃত মানুষ রুপে তৈরী করে যাওয়া। আর এ ক্ষেত্ৰে যদি কোন ধরনেন অবহেলা/কমতি দেখা যায় তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার কাছে জওয়াবদিহি করতে হবে।

মোটকথা সন্তান-সন্ততি পিতা মাতার নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে আমানত, তাদের ঈমান-আকিদা, বোধ-বিশ্বাস, চিন্তা-চেতনা, আমল-আখলাক, জীবন-যাপন প্ৰভৃতির ব্যাপারে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়া মাতা-পিতার কর্তব্য। আর এই কর্তব্য পালন করতে যেয়ে সন্তান-সন্ততিকে (লালন পালন করতে যেয়ে) যত শ্ৰম-সাধনা, মেহনত-মুজাহাদা এবং অর্থ-পয়সা খরচ করবে তা (ইবাদত) তথা সাদকাহ এর অন্তর্ভুক্ত‍‍‍। এবং তাতে সদকাহ এর সাওয়াব পাওয়া যাবে, আখিরাতে নাজাতের উসিলা হবে, সন্তান-সন্ততির জন্য যা খরচ করা হয় তা সর্বশ্ৰেষ্ট দান, হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্নিত, এক হাদীসে নবী করিম সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তুমি একটি দিনার আল্লাহর রাস্তায় খরচ করেছ, একটি দিনার দাস মুক্তির কাজে ব্যায় করেছ, একটি দিনার মিসকিনকে দান করেছ, আর একটি দিনার তোমার পরিবারের জন্য খরচ করেছ, এর মধ্যে যে দিনারটি তুমি তোমার পরিবারের জন্য খরচ করেছ তার সাওয়াব বেশী। আম্মাজান হযরত আইশা রা. থেকে বর্নিতঃ সন্তান-সন্ততির প্ৰতি অনুগ্ৰহ করলে জান্নাত লাভ হয় এবং জাহান্নাম হারাম হয়ে যায়। হযরত আবু উমামাহ রা. থেকে বর্নিতঃ রসুল সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ অনিষ্টতা ও খারাপ থেকে বেচে থাকার জন্য যে ব্যাক্তি নিজের জন্য খরচ করল তা তার জন্য সাদকাহ, এবং যে ব্যাক্তি নিজ স্ত্ৰী, সন্তান-সন্ততি ও পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য কিছু খরচ করল তা তার জন্য সাদকাহ হিসাবে পরিগনিত হবে।

সুত্রসমূহ

الفتاوي الهنديية: الصبي اذا قاء على ثدي .الام ثم مصي الثدي مرارا الخ. كل ما يخرج مم بدن الانسان مما يوجب خروجه الوضوء او الغسل فهو مغلظ كا الغايط و البول

المصنف ابن ابي شيبة: رقم 906

البحر الرايق: لان الثوب والبدن لا يطهران بالدلك الا في المني لان الثوب لتخلخله يتداخله كثير من اجزاء النجاسة فلا يخرجها الا الغسل

البدايع الصنايع: 1/236

الفتح القدير: 1/168

الفتاوى التاترخانية: 1/467

سنن ابي داؤد: رقم 4737

الصحيح البخاري: رقم 3371

الصحيح المسلم: رقم 2186

الصحيح البخاري: رقم 5351-54 قال رسول الله صلي: اذا انفق المسلم نفقة علي اهله و هو يحتسبها كانت له صدقة

الصحيح المسلم: رقم 2358

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

উযু করার সময় বায়ু বের হলে পুনরায় উযু করতে হবে!

ফতওয়া কোডঃ 129-প-04-06-1443

প্রশ্নঃ

উযু করার সময় যদি বায়ু বের হয় তাহলে কি আবার শুরু থেকে উযু করতে হবে নাকি যেই অঙ্গ ধোয়ার সময় বায়ু বের হয়েছে সেখান থেকে শুরু করলে হবে?

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

যদি সে শরয়ী মাজুর (অপারগ) না হয় তাহলে তার উপর নতুন ভাবে উযু করা আবশ্যক। কেননা হদস (ছোট নাপাক বা বড় নাপাক) তাহারত বা পবিত্ৰতার পরিপন্থি তথা পবিত্ৰতা ভঙ্গকারি। আর বায়ু বের হওয়াটা পুর্বের উযুকে ভেঙ্গে দেয়। উযু ভঙ্গকারি কারনগুলো যেমন পরিপূর্ন উযুকে ভেংগে দেয় তেমনি অপরিপূর্ন উযুকেও ভেঙ্গে দিবে। সুতরাং ঐ ব্যাক্তিকে আবার নতুন ভাবে শুরু থেকে উযু করতে হবে। শুধুমাত্র বাকী অঙ্গগুলো ধৌত করলে চলবেনা।

সুত্রসমূহ

رد المحتار: … والاولى ما في البحر حيث جعل الرابع عدم التلبس في حالة التطهير بما ينقضه في حق غير المعذور بذلك

فيه ايضا: …. (قوله لم يتخلل الوضوء) و( قوله مناف) كخروج ريح ودم لغير المعذور بذلك

الدر المختار: … ثم لم يتخلل الوضوء مناف

البحر الرائق: … عدم التلبس في حالة التطهير بما ينقضه في حق غيرالمعذور

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

মাছের রক্ত পাক না নাপাক? লেগে গেলে কি করনীয়?

ফতওয়া কোডঃ 115-প-08-05-1443

প্রশ্নঃ

মাছের রক্ত পাক নাকি নাপাক? শরীরে বা কাপড়ে লেগে গেলে কি করতে হবে? প্রমান সহ জানতে চাই !

সমাধানঃ

بسم اللہ الرحمن الرحیم

নির্ভরযোগ্য তথ্য মতে মাছের রক্ত পাক, শরীরে বা কাপড়ে লেগে গেলে শরীর বা কাপড় নাপাক হবে না। তবে অধিক পরিমাণে লেগে গেলে ধুয়ে নিতে হবে৷

সুত্রসমূহ

مصنف ابن ابي شيبة: 1/176 رقم 2024 عن الحسن قال لا بأس بدم السمك الا ان يقذر

الفتاوي التاتارخانية: 1/432 دم السمك و ما يعيش في الماء لا يفسد الثوب في قول ابي حنيفه ومحمد وقال ابو يوسف يفسد اذا فحش

الفتاوي السراجية: 1/51 دم السمك طاهر

البحر الرائق: 1/408

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

মাথা মুন্ডানোকে হারাম এবং খারেজীদের আলামত বলা ‍শুধুই মূর্খতা!

ফতওয়া কোডঃ 87-প,হাহা-11-02-1443

প্রশ্নঃ মাথা মুন্ডানো শরীয়তের দৃর্ষ্টিতে কতটুকো বৈধ? এটাকে কি কোন ভাবেই সুন্নতের পর্যায়ে নেয়া যাবে? কেউ কেউ এটাকে হারাম বলে সাবেত করেন, সে ক্ষেত্রে আপনাদের মতামত কি? পরিপূর্ন ব্যাখ্যাসহ জানতে চাই।

উত্তরঃ بسم الله الرحمن الرحيم

চুল কাটার তিনটি পদ্ধতি রয়েছে, ১. বাবরি রাখা, ২. মাথা মুন্ডন করা, ৩. পুরো মাথার চুলগুলো সমানভাবে কাটা। ১ম পদ্ধতিটি সর্বসম্মতিক্রমে সুন্নত, ২য় পদ্ধতিটি গ্রহণযোগ্য মতামত অনুযায়ী সুন্নত তবে প্রথম পদ্ধতিটির মতো নয়, ৩য় পদ্ধতিটি জায়েজ তবে সুন্নত নয়।

সমাজের কিছু মূর্খ লোক যারা হাদিস না বুঝে মন্তব্য করে, এমন লোকেরাই মাথা মুন্ডানোকে হারাম এবং খারেজীদের আলামত বলে উল্লেখ করে। মূলত এমন মূর্খ ব্যক্তিদের কথা সঠিক নয়। তবে বিনা প্র্রয়োজনে নারীদের মাথা মুন্ডানো হরাম।

এ বিষয়গুলো সামাধান করা হয়েছে আরো ১ হাজার বছর পূর্বে, তাই এ বিষয় নিয়ে নতুন করে ফিৎনা সৃষ্টি করা ফিতনাবাজদের আলামত। যদি মাথা মুন্ডানোকে হারাম এবং খারেজীদের আলামত বলা হয় তাহলে আমিরুল মুমিনিনি হযরত আলী রা. কখনই তা করতেন না।

সূত্রঃ আবু দাউদ শরীফঃ হাদিস নং ২৪৯, ৩৫৬, ৪১৮৩-৪১৮৭, ৪১৯২, ৪১৯৫, আল মুজামুল আওসাতঃ ৪/১৮৭, আল ইসতিযকারঃ ৮/৪৩৫, রদ্দুল মুহতারঃ ৬/৪০৭, আহসানুল ফাতাওয়াঃ ৮/৮৬, শরহুত তিবী আলাল মিশকাতঃ ২/৮৭, ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াঃ ৫/৩৫৭, ফাতাওয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাতঃ ১২/৪২-৪৭

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

সুপার গ্লু, শক্ত এবং মারাত্মক আঠা হাতে লাগলে অজু-গোসলের বিধান কি?

ফতওয়া কোডঃ 66-প-11-1-1443

প্রশ্নঃ সুপার গ্লু বা এমন শক্ত এবং মারাত্মক আঠা যদি হাতে লেগে যায় তাহলে এমতাবস্থায় অজু-গোসলের বিধান কি?

উত্তরঃ بسم الله الرحمن الرحيم

সুপার গ্লু বা এমন শক্ত এবং মারাত্মক আঠা যা শরীরে পানি পৌঁছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক। তা হাতে লেগে থাকা অবস্থায় অজু-গোসল শুদ্ধ হবে না।

সুত্রঃ ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াঃ ১/১৩, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাতঃ ৩/৬৯

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading

সহবাসের পর বিছানায় নাপাক থাকলে বিছানা পাক করার পদ্ধতি কি?

ফতওয়া কোডঃ 11-প-09-08-1442

প্রশ্নঃ

স্ত্রী সহবাসের পর বিছানায় যদি নাপাক লাগে তাহলে ঐ বিছানা পবিত্র করার নিয়ম কি? এবং ঐ বিছানায় নামাজ পড়ার বিধান কি?

সমাধানঃ

بسم الله الرحمن الرحيم

স্ত্রী সহবাসের পর যদি বিছানায় স্বামী-স্ত্রীর বীর্য পড়ে তা শুকিয়ে যায়, তাহলে তা খুটিয়ে তুলে ফেললেই তা পাক হয়ে যায়। তবে যদি কেউ সে শুকিয়ে যাওয়া না পাক খুটিয়ে তুলে না ফেলে তার উপর পবিত্র জায়নামায বা অন্য কোন পবিত্র কাপড় বিছিয়ে নামায আদায় করে, তা হলে তার নামায সহীহ হবে। এতে কোন সমস্যা নেই।

সুত্রসমূহ

فتاوی عالمگیری: 1/58

والله اعلم بالصواب

দারুল ইফতা, রহমানিয়া মাদরাসা সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।

Loading